সরকারি চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জোবাইদা রহমান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ আসছে দ্রুত

জিয়া পরিবার ও বিএনপি (BNP)-র ঘনিষ্ঠ সদস্য ডা. জোবাইদা রহমান (Dr. Zubaida Rahman) সরকারি চাকরি ফিরে পেতে যাচ্ছেন। প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে, এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক-দুই দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (Ministry of Health)-এর কর্মকর্তারা।

২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটিতে যুক্তরাজ্য গমনের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী ২০১৩ সালে তার চাকরি অবসান হয়। তারেক রহমান (Tarique Rahman)–এর চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে অবস্থান করছিলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এ কে এম ফজলুল হক জানান, সম্প্রতি দেশে ফিরে ডা. জোবাইদা রহমান চাকরিতে পুনর্বহাল হতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “চাকরি পুনর্বহালের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (Dhaka Medical College) থেকে এমবিবিএস পাস করা ডা. জোবাইদা পরে ইম্পেরিয়াল কলেজ (Imperial College)-এ মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি নেন। ১৯৯৫ সালে বিসিএসে প্রথম হয়ে তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।

২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। ছুটি বাড়ানোর কয়েকটি আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর, অনুমোদন ছাড়া একটানা পাঁচ বছর অনুপস্থিত থাকায় তার চাকরি বাতিল হয়।

ছুটির মেয়াদ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা সম্ভব হলেও, ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ দু’বার প্রত্যাখ্যান করে তৎকালীন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর। ছুটি বাতিলের আদেশ রহস্যজনকভাবে বিলম্বিতভাবে জারি করা হয় এবং এসব চিঠি তার কাছে পৌঁছেছে কি না, তাও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

উল্লেখ্য, দুদক (ACC) ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানা (Kafrul Police Station)-তে তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমান, ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। ওই মামলায় শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের সময়ে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সেই সাজা স্থগিত করা হয়।

সম্প্রতি দেশে ফিরে খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)-র সঙ্গে দেখা করেন ডা. জোবাইদা। বর্তমানে তিনি তার বাবার ধানমন্ডির মাহবুব ভবনে অবস্থান করছেন, যেখানে সরকার পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।