বাংলাদেশে হটাৎই বেড়ে গেছে শীতের তীব্র প্রকোপ। এর এই কারনে জন জীবন যেমন বিপাকে পড়ছে তেমনি ব্যাহত হচ্ছে দেশের বিমান চলাচল ব্যবস্থা। গেল মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটটি ফ্লাইট অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি ফ্লাইট অবতরণের চেষ্টা করলেও পরে ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে চলে যায়। আরেকটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ায় ফিরতে ২ ঘন্টা সময় লাগে। কুয়াশার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যাহত হয়।
বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, কুয়াশার কারণে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় সাতটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে পারেনি এবং চট্টগ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে চট্টগ্রামে প্লেনের জন্য জায়গা (পার্কিং) না থাকায় তারা কলকাতায় চলে যায়। কুয়াশার অবস্থার উন্নতি হলে ফ্লাইট অবতরণ করবে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইটের পাইলটরা অবতরণের আগে রানওয়ে দেখতে পারেননি। ফলে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকায় বাটিক এয়ার, কুয়েত থেকে কুয়েত এয়ারওয়েজ, জাজিরা এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, বিমান থেকে দাম্মাম, গালফ এয়ার বাহরাইন এবং সালাম এয়ার ঢাকা থেকে মাস্কাট এয়ারওয়েজ।
এছাড়াও কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকাগামী এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইট ২ ঘন্টা উড্ডয়নের পর কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পেরেছে। পরে ফ্লাইটটি মাঝ আকাশ থেকে কুয়ালালামপুরে ফিরে আসে। এছাড়াও সৌদি জেদ্দা থেকে ঢাকার একটি ফ্লাইট তাদের যাত্রা বাতিল করেছে। একই কারণে ঢাকাগামী প্রায় ডজনখানেক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে অবতরণ করতে পারছে না।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, কুয়াশা কমে যাওয়ার পর আকাশে চক্কর দিয়ে কলকাতা থেকে আসা ফ্লাইটগুলিকে আগে অবতরণের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত এ ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে না দেশ এর বিমান ব্যবস্থা। এর সেই পর্যন্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েই চলাচল অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নিচ্ছে বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
