চলমান ভারত (India)-পাকিস্তান (Pakistan) সামরিক উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রেক্ষিতে সংহতির ডাক দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (Asif Mahmud Sajib Bhuiyan) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizen Party)-এর নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah)।
বুধবার (৭ মে) ভোরে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বার্তায় আসিফ মাহমুদ লেখেন, “সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি।” অপরদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন।”
এ ছাড়া সারজিস আলম (Sarzis Alam), এনসিপি-র অপর সমন্বয়ক, সকাল পৌনে ১০টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, “মাতৃভূমির নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আপোষহীন।”
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘাতে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। বুধবার ভোরে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অন্তত ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে দুটি মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত লাগে। পাকিস্তানের আইএসপিআর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, এ হামলায় আটজন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হন।
জবাবে পাকিস্তান জানায়, তাদের বিমান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং একটি ব্রিগেড সদর দফতর ধ্বংস করেছে।
ভারত দাবি করেছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামের অভিযানে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা জানায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুযায়ী এ অভিযান হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আকাশপথও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের আকাশসীমা বিপজ্জনক হয়ে ওঠায় বাংলাদেশগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট মাঝপথ থেকে ফিরে যায়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Shahjalal International Airport) সূত্র জানায়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফ্লাইটগুলো বিকল্প রুট ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে।
সংঘাত নিরসনে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়াও আসতে শুরু করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর (US State Department)-এর মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস (Tammy Bruce) বলেন, “আমরা ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।”