ভারত (India) ও পাকিস্তান (Pakistan) সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বিএসএফ (BSF) ১১০ জনকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করিয়েছে (পুশইন)। এসব ব্যক্তির মধ্যে অধিকাংশই গুজরাটের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে। তারা খাগড়াছড়ি (Khagrachhari) ও কুড়িগ্রাম (Kurigram) সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
খাগড়াছড়ি সীমান্তে আটক ৬৬ জন
মাটিরাঙা (Matiranga) ও পানছড়ি (Panchhari) সীমান্ত দিয়ে ঢোকা ৬৬ জন ব্যক্তি নিজেদের গুজরাট (Gujarat) রাজ্যের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। আজ বুধবার ভোরে মাটিরাঙার তাইন্দং সীমান্ত (Taindong border) দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপূর সীমান্ত (Shantipur border, Gomti Union) দিয়ে ২৭ জন এবং পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রূপসেন পাড়া সীমান্ত (Rupsen Para border, Logang Union) দিয়ে ২৪ জন প্রবেশ করে। তাদের আটক করেছে বিজিবি (BGB)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা (Acting Deputy Commissioner Nazmun Ara Sultana)। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালায় এবং তাদের আটক করে।
কুড়িগ্রামে আটক ৪৪ জন, রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি রয়েছে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী (Bhurungamari, Kurigram) ও রৌমারী (Roumari) সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয় আরও ৪৪ জনকে। এর মধ্যে ৩০ জন রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এবং ১৪ জন ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুরি সীমান্ত (Bhawalkuri border) দিয়ে প্রবেশ করে।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান (OC Lutfor Rahman, Roumari Police Station) জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা (Rohingya) এবং ৮ জন বাংলাদেশি।
পুশইন কার্যক্রমে উদ্বেগ
এভাবে পুশইনের ঘটনা সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ তৈরি করেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া চলছে।