ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংশোধিত অধ্যাদেশের গেজেট হাতে পেলেই ৬১টি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (Election Commission)–এর সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ (Akhtar Ahmed)।
বুধবার (৭ মে) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পাওয়া গেছে। গেজেট প্রকাশ পেলেই ৩০০ আসনের মধ্যে ৬১টি আসনে জমা পড়া ৪০৫টি আবেদন নিষ্পত্তির কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
তিনি জানান, সীমানা পুননির্ধারণে যেসব আইনগত কাঠামো রয়েছে, সেগুলোর আলোকে কাজ চলবে। সময়সীমার বিষয়ে প্রশ্ন করলে আখতার আহমেদ বলেন, এটি কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়, তবে ইসি দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে চায়।
সীমানা নির্ধারণে আবেদন ও প্রক্রিয়া
ইসি সচিব আরও বলেন, ইতোমধ্যে যারা সীমানা পুননির্ধারণের আবেদন করেছেন, তাদেরকে কমিশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়নি। তবে কেউ নতুন করে আবেদন করতে চাইলে করতে পারবেন এবং আবেদনের জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশনের সুপারিশ
বদিউল আলম মজুমদার (Badiul Alam Majumdar) নেতৃত্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ২০০৮-২০২৩ সাল পর্যন্ত সীমানা পুননির্ধারণের সময়কার বিতর্ক তুলে ধরে ভবিষ্যতে একটি স্বাধীন সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসরের সীমানা পুননির্ধারণ করা হয় ২০০৮ সালে। সে সময় জাতিসংঘের সহায়তায় একজন আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে গবেষণা পরিচালিত হয়, যদিও গবেষণার সব সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়নি।