গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতার বিচার দাবি করলেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী

নেত্রকোনার (Netrokona) পূর্বধলা উপজেলায় (Purbadhala) এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উপজেলা ছাত্রদল (Chhatra Dal) আহ্বায়ক মো. সালমান রহমান পল্লবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামীর (Hefazat-e-Islam) কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী (Rafiqul Islam Madani)।

বুধবার (৭ মে) রাত ৮টার দিকে পূর্বধলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।

শ্লীলতাহানির ভয়াবহ বিবরণ

মাদানী দাবি করেন, তার চাচাতো ভাই ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পথে শ্যামগঞ্জ বাজার এলাকায় সালমান পল্লব ও তার সহযোগীরা গাড়ি থামিয়ে গৃহবধূকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে শ্লীলতাহানি করে এবং চড়থাপ্পড় মারে। তাদের থামাতে গেলে তার চাচাকেও মারধর করা হয়। নারীকে দুই ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।

ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার, তদন্তে অগ্রগতি

ছাত্রদলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী জানিয়েছেন, সালমান রহমানকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং দলের অন্য নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভিকটিমের বাবার করা মামলার ভিত্তিতে সালমান পল্লবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ঘটনাটি কীভাবে ঘটল?

ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় বসবাসরত ওই নারী কিছুদিন আগে বাবার বাড়ি ঘাগড়া ইউনিয়নে বেড়াতে আসেন। তার চাচা অ্যাম্বুলেন্স চালক। গত মঙ্গলবার রাতে ওই নারীকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে কুমুদগঞ্জ মোড়ে সালমান রহমান পল্লবের নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের থামিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

মাদানীর স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ

ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাদানী লেখেন, “আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ—বলার মতো ভাষা নেই। এসব শুনে কেউ কেউ হাসবে, কিন্তু বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এ ঘটনার কঠোর বিচার দাবি করছি।”