সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল: হান্নান মাসউদের বিস্ফোরক দাবি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (Abdul Hamid) বুধবার দিবাগত রাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (Shahjalal International Airport) থেকে থাইল্যান্ড (Thailand)ের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেছেন। কিন্তু বিমানবন্দরে তাকে আটকানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party) বা এনসিপি-র সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ (Hannan Masud)।

হান্নান মাসউদের ফেসবুক পোস্টের দাবি

বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে হান্নান মাসউদ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতিকে বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছিল, পরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন (Sahabuddin) এর অফিস থেকে ফোন কল আসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি পোস্টে লেখেন, “আব্দুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলো, তারপর নাকি চুপ্পুর অফিস থেকে ফোন কল পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো। এর পরও কি ইন্টেরিমকে জুলাই বিপ্লবীরা সাপোর্ট করে যাবে?”

তিনি আরও লেখেন, “স্যরি, হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান।”

বিমানবন্দর সূত্র ও নিরাপত্তা সংস্থার বক্তব্য

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, আবদুল হামিদ রাত ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ ফ্লাইটে ব্যাঙ্কক (Bangkok) এর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।

ইমিগ্রেশনে যাচাই-বাছাইয়ের পর তিনি দেশত্যাগের ‘সবুজ সংকেত’ পান। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) (Special Branch of Police) সূত্র জানায়, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতের নিষেধাজ্ঞা বা বাহিনীর আপত্তি না থাকায় তাকে আটকানো হয়নি।

পারিবারিক সূত্রের ব্যাখ্যা

আবদুল হামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার সঙ্গে শ্যালক ডা. নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদও রয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গেছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।