নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ তুলে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি ডা. জাহিদের

বিএনপি (BNP)’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন (Dr. AZM Zahid Hossain) অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাব (National Press Club) এ এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, জনগণ চায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে, তাই অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

“আওয়ামী লীগ তাদের অপকর্মের ফল ভোগ করছে”—জাহিদ

জাহিদ হোসেন বলেন, “আজকে আওয়ামী লীগকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না, কারণ তারা তাদের অপকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করছে। তাদের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না, তাই বিগত সময়ে সুষ্ঠু ভোট হয়নি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিদায় নিয়েছে—এই ঐক্যমত আমাদের ধরে রাখতে হবে।”

প্রবাসী ভোটারদের অধিকার নিয়ে মন্তব্য

সভায় তিনি বলেন, “প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার দাবি যৌক্তিক। বিএনপি এ দাবির সঙ্গে একমত। কেবল কীভাবে প্রবাসীরা ভোট দেবে, সে বিষয়ে আলোচনার দরকার রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীদের সম্পদ রক্ষা করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং দেশের সকল নাগরিকের সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সরকারের দায়িত্ব।”

যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতাদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি (UK BNP)’র সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা (BNP Chairperson’s Adviser) এম এ মালিক (MA Malik)। তিনি বলেন, “সিলেটসহ সারা দেশে প্রবাসীদের গড়া বাড়িঘর দখল করেছে বিগত স্বৈরাচার সরকার। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, যাদের রেমিট্যান্সে দেশ চলে, তাদের ভোটাধিকার ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের দোসররা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে, এমনকি জমির মাটিও তুলে নেয়।”

সভায় অংশ নেওয়া অন্যান্য নেতারা

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু (Jahangir Alam Mintu) এবং বক্তব্য দেন—যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি এম জাকারিয়া (M Zakaria), মাহমুদউল্লাহ মামুন (Mahmudullah Mamun), ব্যারিস্টার ওবাইদুর রহমান টিপু (Barrister Obaidur Rahman Tipu), মরিয়াম চৌধুরী (Mariam Chowdhury), রিপন সরকার (Ripon Sarkar), মমতাজ হোসেন লিপি (Mamtaz Hossain Lipi), বিল্লাল হোসেন মাল (Billal Hossain Mal), কবির হোসেন দেওয়ান (Kabir Hossain Dewan), আব্দুল হালিম ভূইয়া (Abdul Halim Bhuiyan) ও জাফর দেওয়ান (Jafar Dewan)।