সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ (Abdul Hamid)কে বিদেশ যাত্রায় বাধা না দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলা সমালোচনার জবাবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (Asif Nazrul) বলেছেন, এটি আইন মন্ত্রণালয় (Law Ministry)র এখতিয়ার নয় বরং পুলিশের ও গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুলের ব্যাখ্যা
শুক্রবার (৯ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য ছড়াচ্ছে। সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ে না।”
তিনি আরও লেখেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেবল নিম্ন আদালতের বিচারকরা থাকেন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, বিচারকদের কাজ বিমানবন্দরে পাহারা দেওয়া নয়।”
‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে বিরোধিতা করছি’—এই দাবিও মিথ্যা
আসিফ নজরুল দাবি করেন, “আইসিটি আইনে রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেটি আমি নিজেই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমি নিজে যে খসড়া দিয়েছি সেটির বিরোধিতা করবো—এটা অবাস্তব কথা।” তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ নেই, তবে পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে।”
আইনের প্রতিবন্ধকতা নেই
তিনি আরও জানান, “আইসিটি আইন কয়েক দিনের মধ্যেই সংশোধন সম্ভব। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইন (Anti-Terrorism Act) সহ অন্যান্য আইনের সুযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি বা আদালতের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আইনানুগভাবে দ্রুত নিষিদ্ধকরণ সম্ভব।”