জাতীয় পার্টি (Jatiya Party) চেয়ারম্যান জিএম কাদের (GM Quader) বলেছেন, তার দল বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করা দলগুলোর নিষিদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি আওয়ামী লীগ (Awami League) গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ হয়, তাহলে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার দায়ে দায়ী দলগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
মতবিনিময় সভায় স্পষ্ট অবস্থান
শনিবার (১০ মে) দুপুরে বনানীতে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজ (Jatiya Chhatra Samaj) কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম, তখন দুইজন নেতা শহীদ হয়েছেন এবং কমপক্ষে চারজন নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। আমাদের শতশত নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ এখন আন্দোলনে আমাদের অবদান অস্বীকার করা হচ্ছে এবং ছাত্র হত্যার মামলায় অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাদের আসামি করা হচ্ছে।’’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা
জিএম কাদের আরও বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, আমরা নির্বাচনে গিয়ে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছি। অথচ ২০১৪ সালে আমি মন্ত্রী থাকলেও, আমার নেতৃত্বে ২৭০ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। আমাকে তখন মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও আমি প্রত্যাখ্যান করি। বিএনপি যদিও ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি, কিন্তু তারা ওই বছরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। তাহলে তারা কি সরকারকে বৈধতা দেয়নি?’’
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমাদের ওপর বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে অংশগ্রহণ করানো হয়। তবে, এতে কোনও বেআইনি কাজ হয়েছে বলে মনে করি না। জনগণের রায়ই হতে পারে সবচেয়ে সঠিক বিচার।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু (Md. Mujibul Haque Chunnu), জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক মারুফ ইসলাম প্রিন্স, সদস্য সচিব মো. আরিফ আলী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা, আলমগীর সিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ইঞ্জিনিয়ার মাইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, একেএম নুরুজ্জামান জামান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহমুদ আলম, এমএ রাজ্জাক খান, ইব্রাহীম খান জুয়েল, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সেরনিয়াবাত সেকেন্দার আলী, মো. ইউসুফ এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।