জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens’ Party)–এর উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (Sarjis Alam) বলেছেন, চলমান বৈঠকের সিদ্ধান্তই ঠিক করে দেবে আন্দোলনের পরবর্তী গন্তব্য ও রাজনৈতিক করণীয়।
শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা (Dhaka) শহরের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল (Intercontinental Hotel)–এর পাশে রাজসিক মোড়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “৮টার দিকে একটা মিটিং চলছে, সেটা আমরা যেমন জানি, আপনারাও জানেন। আমরা চাই এই বৈঠক থেকেই যেন আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও রূপরেখা আসে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি সেই সিদ্ধান্ত না আসে, তবে দেশের মানুষ এই সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব দেখতে চায় না। যারা জুলাই হত্যাকাণ্ড এবং বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্যই আমরা আজ এখানে অবস্থান করছি।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য
সারজিস আলম বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত এবং দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমন্বিত সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে আমাদের গন্তব্য কেমন হবে। এখানেই থেমে থাকব নাকি নতুন রোডম্যাপে অগ্রসর হব, তা ওই সিদ্ধান্তেই নির্ভর করবে।”
তিনি জানান, “আমরা এখনো যমুনা (Jamuna)র সামনে যাইনি। আমরা এখন রাজসিক মোড়–এ অবস্থান করছি। অর্থাৎ, আমরা শাহবাগ (Shahbagh) এবং যমুনার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছি। এখান থেকে আমরা উপদেষ্টামণ্ডলী ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বার্তা দিতে চাই, আর সেটা হলো—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা এখন জনগণের চূড়ান্ত দাবি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইলে যমুনার দিকেও অগ্রসর হতে পারি। আমরা এমন অবস্থানে রয়েছি, যেখান থেকে যমুনাও দেখা যায়, শাহবাগও দেখা যায়।”
কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা
এদিকে হাসনাত আব্দুল্লাহ (Hasnat Abdullah) ঘোষিত ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির পরপরই রাজসিক মোড়ে শাহবাগ থেকে মিছিল আসতে শুরু করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সেখানে কড়া অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।