প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে গোপনে দীর্ঘদিন ধরেই দশম শ্রেণির এক ছাত্রী সুমির (ছদ্ম নাম) আপত্তিকর ছবি নিজের মুঠো ফোনে ধারণ করে আসছিলেন গৃহশিক্ষক মামুন। সম্প্রতি এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই সুমিকে টিউশনি করাতেন গৃহশিক্ষক মামুন। পাঠদানের সময় গোপনে সুমির কিছু ব্যক্তিগত ছবি মোবাইলে ধারণ করেন তিনি। সেসব ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মামুন বিভিন্ন সময় সুমির আরও কিছু ছবি তোলেন। সুমি ভয় পেয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে জানায়নি।
এরপর অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষায় সুমির পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় অভিযুক্ত মামুনকে শিক্ষকতা থেকে বাদ দেয় পরিবার। এরপর অভিযুক্ত মামুন সুমিকে স্কুলে যাতায়াতের সময় তোলা গোপন ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়।
প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সুমির পরিবারের ছবি ব্যবহার করে তার মায়ের নামে একটি ফেক ফেসবুক আইডি খোলেন। ফেসবুক আইডি থেকে মামুন সুমির মায়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠিয়ে প্রস্তাব দেন। মামুনের প্রস্তাবে সুমির মা সাড়া না দিলে তিনি সুমির ওই ছবিগুলো পাঠিয়ে দেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেন। বিভিন্ন সময় আসামি মামুন ওই ভুয়া আইডির মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বিভিন্ন অশালীন ও অশ্লীল ছবি ও ভিডিও সুমির মায়ের কাছে পাঠাতো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মামুনের তোলা ছবি প্রচারের ঘটনায় সুমির পরিবার সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। সিআইডির সাইবার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।
এদিকে ওই ছাত্রীর করা অভিযোগের অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজাদ জানান, মামুনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।