গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি সারোয়ার তুষারের

জাতীয় নাগরিক পার্টির (Jatiya Nagorik Party) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার (Sarwar Tushar) গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সংবিধান প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছেন। রোববার (১১ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক (Facebook) অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ দাবি তুলে ধরেন।

ব্যক্তিকেন্দ্রিক সংবিধান সংশোধনী ইতিহাস তুলে ধরলেন

সারোয়ার তুষার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্তত তিনটি সংবিধান সংশোধনী একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আনা হয়েছে। ষষ্ঠ সংশোধনীতে আবদুস সাত্তার (Abdus Sattar)-কে উপরাষ্ট্রপতি পদে থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ (Shahabuddin Ahmed)-কে আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরার বিধান দেওয়া হয়। চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে কে এম হাসান (K M Hasan)-কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করা হয়।

“সংশোধনী নয়, চাই মৌলিক সংস্কার ও পুনর্লিখন”

তিনি বলেন, “এত বড় একটি গণঅভ্যুত্থানের পর যদি নতুন সংবিধান লেখা না যায়, তাহলে তা জনগণের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করার শামিল।” তার মতে, কেবল একটি ‘আরও একটি সংশোধনী’ করলেই চলবে না, বরং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সংবিধান রচনা বা মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন।

সারোয়ার তুষার ব্যাখ্যা করে বলেন, “সংশোধনী মানে হচ্ছে বিদ্যমান সংবিধানে ছোটখাটো পরিবর্তন। কিন্তু জনগণের বিপুল গণঅভ্যুত্থানের পরে সংবিধানের মৌলিক পুনর্লিখন বা সংস্কারই যথাযথ প্রতিক্রিয়া হওয়া উচিত।” তিনি দাবি করেন, আদালতের এখতিয়ার নেই মৌলিক সংস্কারকে বাতিল করার; বরং আদালতের কাজ হবে সেই পুনর্লিখিত সংবিধানকে বিচার ও আইন প্রণয়নের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা।

নির্বাচিত গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান চাইলেন

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “সংশোধনীর মাধ্যমে নয়; একটি নির্বাচিত গণপরিষদের মাধ্যমেই নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা উচিত।” জনগণই হবে এই প্রক্রিয়ার মূল নিয়ন্তা—এটাই গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ বলে মত দেন সারোয়ার তুষার।