সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেত্রীদের ভয়া”নকভাবে নি”/র্যাতনের শিকার হন এক ছাত্রী। এই ঘটনার পর ঐ ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমান সময়ে ঐ ছাত্রী জীবনের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হল ছেড়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। এরই মাঝে ঐ নির্যা”/তিতা ছাত্রীকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ক্যাম্পাসে ডেকেছে তদন্ত কমিটি।
তদন্তের স্বার্থে আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন নির্যা”/তনের শিকার ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী। দুপুর ১২টার দিকে পাবনার গ্রামের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন নি”/র্যাতিতা তরুণী। পরে তাকে দুই সহকারী প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনা হলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছে। তারা ভু’ক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
ভু’ক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে প্রভোস্টের ডাকে ক্যাম্পাসে আসি। যতবার ডাকবে ততবার আসব, তবে সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমার সাথে যা হয়েছে তা যেন আর না হয়। আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ।’
নির্যা”/তিতার বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যা হয়েছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গনরুমে তাকে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নি”/র্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নি”/র্যাতন করে। নি’র্যা”/তনের সময় তাকে তার সকল পোশাক খুলে তার ভিডিও করা হয়, গা”লিগালাজ করা হয় এবং ঘটনাটি কাউকে বললে তার জীবন না’শের হু”/মকি দেওয়া হয়। গত বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। যার জন্য তাকে আজ ডাকা হয়েছে।
ঘটনা ঘটার সময় পাশে থাকা বেশ কয়েকজন ছাত্রী ভয়ে কেঁদে ফেলেন। এবং কয়েকজন তাকে নির্যাতনের বিষয়টি সইতে না পেরে রুম থেকে বাইরে চলে যান। মাঝে মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ও নেত্রীদের দ্বারা সাধারন শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সুশীল সমাজে।