সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ভ”/য়ানকভাবে নির্যা”/তন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে করা হয়েছে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ঐ ছাত্রীকে তার শরীরের সমস্ত পোশাক খুলে নি”/র্যাতন করা হয়। প্রায় ৪ ঘন্টা ধরে বিভিন্নভাবে ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছি”ত করা হয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত কমিটির ডাকে মুখোমুখি হয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তরা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক কক্ষে ভি’কটিমসহ ৫ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেল ৪টায় তারা কক্ষ থেকে বের হন। পরে তাদের আলাদাভাবে প্রক্টরিয়াল বডির গাড়িতে করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর ভিক’টিম মিডিয়ার সঙ্গে কথা বললেও অভিযুক্তরা কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি অভিযুক্তদের চিনিয়ে দিয়েছি। তারা আমার হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছে। আমি বললাম এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। প্রশাসন কি করবে সেটা প্রসাশন জানে। তাদের কান্না কান্না ভাব ছিল। আপনি তাদের দেখে ভয় পেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো ভয় পায়নি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত শাখা নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেননি। আ”সামি তাবাসসুম বলেন, তদন্ত কমিটিকে যা বলার বলেছি। আমি আর কিছু বলতে চাই না।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এর আগে শামসুল আলমের ডাকে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক. ড শফিকুল ইসলাম ও জয়শ্রী সেন তাকে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে ভুক্তভোগীকে হলে নিয়ে যান।
এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্ত করছে। আশা করি সুষ্ঠু বিচার হবে।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি বেলা সোয়া ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এ সময় তারা প্রক্টর অফিসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
বৈঠক শেষে দুপুর ১টার দিকে তারা ওই হলে যান। সেখানে হল কমিটি ও হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ভিক”টিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর সোয়া ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে যান তিনি।
ঐ ছাত্রীর বাবা বলেন, ওইদিন ঘটনার পর আজসহ চারবার এসেছি। প্রতিবার পথে আসা-যাওয়া করতে প্রায় চার ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়াও প্রতিবার ৫০০-৬০০ টাকা খরচ করে যা আমার জন্য কষ্টকর। প্রশাসনকে আর বলতে বলতে পারি না যে এখানে থাকবো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
সহকারী প্রক্টর সাজ্জাদুর রহমান টিটু বলেন, ভি”কটিমকে নিরাপত্তা দিয়ে আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। পরে তারা নিজ ব্যবস্থাপনায় বাড়ি ফিরে গেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে তাকে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নি”/র্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। ভুক্ত”ভোগী শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নি”/র্যাতন করে। ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাকে হল রুমের ভেতর তার পোশাক খুলে তারা ভিডিও করতে শুরু করে। সেই সাথে সভানেত্রীর অনুসারীরা তাকে নানাভাবে গা”লিগালাজ করে। এমনকি এক পর্যায়ে এই ঘটনা নিয়ে কোন অভিযোগ করলে তাকে মে”/রে ফেলার হু”মকি দেয় তারা। এই ঘটনার পর গত বুধবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। যে কারণে তাকে আজ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে ডাকা হয়।