সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনায় পড়েছেন। তার মণ্তব্যের প্রেক্ষিতে নানা মহল থেকে তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়েছে। তার এই বক্তব্যের জন্য তিনি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এবার তার মণ্তব্য নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এই বিষয় কথা বলেছেন তিনি।
দাড়ি-টুপির প্রসঙ্গ তুলে হেফাজতে ইসলামের ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, আমি কখনো দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে কথা বলিনি। আমার বাবাও দাড়ি রাখতেন এবং টুপি পরতেন। আমিও মাঝে মাঝে টুপি পরি। ইস্যু করে তারা (হেফাজত) আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতিকে ধ্বং”স করতে চায়। অবশ্য হেফাজত যখন আমার বিরুদ্ধে যায়, তখন বুঝি আমি বেহেস্তের পথে আরো একধাপ অগ্রসর হলাম
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বাধীন গণতান্ত্রিক পূর্ববঙ্গ কর্মসূচিতে কৃষি প্রশ্ন এবং বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সুবর্ণজয়ন্তীর বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় মূল বক্তব্য রাখেন জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক। আলোচনায় অংশ নেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও দলের পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল আহসান।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) আয়োজিত এক সভায় রাশেদ খান মেনন বলেন, যারা রাজাকার-আলবদরদের টুপির নিচে নিয়ে গণতন্ত্রের লড়াই করে,, তারা আমাদের বন্ধু নয়, শত্রু। তাদের সর্বক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে। ওই বক্তব্যবের নিন্দা জানায় হেফাজতে ইসলাম। দলের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে রাশেদ খান মেননকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভায় শিক্ষা খাতে সাম্প্র”/দায়িকতার অভিযোগ তুলে ধরেন সাবেক মন্ত্রী মেনন। তিনি বলেন, তরুণরা এগিয়ে না এলে বাংলাদেশের অবস্থা আফ”গানিস্তানের চেয়েও খারাপ হবে। আফ”গান নারীরা এখন স্কুলে যেতে পারছেন না। কিন্তু খোদ সৌদি আরবে নারীরা এখন গাড়ি চালাচ্ছে, খেলাধুলা করছে। ইরানে হি”/জাবের বিরুদ্ধে ল”ড়াই চলছে। তাই যুবসমাজকে এগিয়ে এসে অসা”/ম্প্রদায়িক দেশ গড়ার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমপি মেনন বলেন, আমাদের উচ্চাভিলাষী বড় বাজেট ব্যর্থ হওয়ায় ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। রপর আইএমএফের ঋণের অযৌক্তিক শর্ত মেনে নেওয়ায় বর্তমান দুর্বিসহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আইএমএফ’র শর্তেও কারণে মাত্র ১৭ দিনে দুইবার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। কৃষকদের ভর্তুকি কমাতে হচ্ছে। এতে সারের খরচ ও সেচের পানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে।যার কারনে আজ সকল ক্ষেত্রগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কৃষি ও কৃষক যারা রয়েছেন তাদেরকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের সময় আমাদের দেশের মানুষ সেটা খুব বেশি উপলদ্ধি করতে পেরেছি।