দীর্ঘদিন ধরিয়ে চাচাতো ভাবীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাকিবুল ইসলাম সোহাগ (২৮) নামে এক যুবক। তিনি পেশায় এখন আনসার সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে এরই মধ্যে গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে ভাবির বাড়ির আঙিনা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, ভাবির সঙ্গে পরকীয়ার জেরে তাকে’ হ”ত্যা” করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাবিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
সোহাগ নাজিরপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অগ্রণী ব্যাংকে আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নি’হ’ত আনসার সদস্য সাকিবুল ইসলাম সোহাগ ছুটি কাটাতে বৃহস্পতিবার ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সোহাগের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। রাত ১০টার দিকে মুনছুর আলীর ছেলের স্ত্রীর বাড়ি থেকে সোহাগ মারা যাচ্ছে বলে চিৎকার শোনা যায়। পরিবারের সদস্যরা পাশে’র বাড়িতে গিয়ে সোহাগকে পড়ে থাকতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ‘লা’শ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
কান্নায় ভেঙে পড়া সোহাগের মা শিউলি বেগম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলের ট্রেনে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে বাড়ির উঠানে গিয়ে ছেলের নিথর’ লা’শ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি চা’ন যা’রা তার ছেলেকে ‘হ”’ত্যা” করেছে তাদের ফাঁসি হোক।
প্রতিবেশীরা জানান, সোহাগেরা দুই ভাই। সোহাগ তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ওই ভাবী সোহাগের চাচাতো ভাই মৃত মোজাম্মেলের স্ত্রী। ছয় বছর আগে তার স্বামীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
তাদের অভিযোগ, মোজাম্মেলের মৃত্যুর পর ভাবী-দেবরের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পারিবারিকভাবে একাধিকবার বৈঠক করেও তাদের বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক মেটানো যায়নি।
এদিকে এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়টি নিশ্চত করে সংবাদ মাধ্যককে জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে ওই আনসার সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।