সামনে ঘনিয়ে আসছে দেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনই উঠেছে নানা ধরনের আলোচনা। একের পর এক আলোচনায় মুখরিত হচ্ছে দেশের রাজনীতির অঙ্গন। এ দিকে সম্প্রতি নির্বাচনের নিরাপত্তা আর কার্য্ক্রম নিয়ে নতুন করে কথা বলেছেন দেশের বর্তমান আইজিপি।তার এই কথার প্রেক্ষিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাবেক বিএনপি নেতা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
“পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা কীভাবে পালন করতে হয় সে বিষয়ে পুলিশের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আগামী দিনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।”
ভুতের মুখে রাম নাম ! আবার কোন খেলা দেখাতে চাচ্ছেন পুলিশের আইজিপি? ২০১৮ সনের নির্বাচনে পুলিশ যে খেলা দেখিয়েছে তার পরে পুলিশের আইজিপির এই ভাষন শুধু হাস্যস্করই নয় রিতিমত নির্লজ্জের মত! জনগণ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ শুধু চরমভাবেই ব্যর্থই হয় নাই তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে সরাসরি নেমে দিনের ভোট আগের রাতে ডাকাতি করে দিয়ে দিয়েছিল এবং ভোটের দিন জনগণকে এমনকি আওয়ামী লীগের ভোটারদেরও ভোট দিতে দেয় নাই।
নির্বাচনে পুলিশকে আইন শৃঙ্খলার নামে কোন দায়িত্ব দেয়া যাবে না। নির্বাচনের তারিখের ৩ সপ্তাহ বা ২১ দিন পূর্ব হতে সকল পুলিশকে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলে বসায়ে রাখতে হবে অথবা বেশির ভাগ সদস্যদের বিশেষ করে এস আই সকল পরিদর্শক থেকে উর্ধতন কর্মকর্তাদের ও বাকি পুলিশ সদস্যদের ৫০% ভাগ গণ ছুটিতে পাঠায়ে দিতে হবে। নির্বাচনের সকল প্রার্থীরাই নিজেরাই আপোশে যার যার এলাকার আইন শৃঙ্খলা জনগণকে নিয়ে রক্ষা করতে পারবে। তার উপরে আনসার, ভিডিপি, চৌকিদার , বেসরকারী নিরাপত্তার লোক ও বিজিপিতো রয়েছেই। তার পরে দরকার পড়লে সামরিক বাহিনীতো রয়েছেই।
পরিশেষে বলতে চাই কোন অবস্থাতেই ভোট ডাকাত পুলিশকে নির্বাচনের আশেপাশে আসতে দেয়া যাবে না।
প্রসঙ্গত, গেলো নির্বাচনে বাংলাদেশের পুলিশকে নিয়ে উঠেছিল নানা ধরনের সব অভিযোগ। বিশেষ করে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে সে সময়ে কাজ করেছে পুলিশ বলে অনেকেই বলেছে। আর এই কারণে নতুন করে আবারো পুলিশকে নির্বাচনের কাজে দেখতে চাইছেন না বলে ধারণা করছেন বিশিষ্ট থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের।