২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan Kamal) এবং পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন (Chowdhury Abdullah Al-Mamun)–এর বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১২ মে) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (International Crimes Tribunal) চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে সরাসরি নির্দেশের তথ্য
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রতিবেদনে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডসহ বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রচুর তথ্য-প্রমাণ জমা
তদন্তকারী দল জানিয়েছে, তারা বিপুল পরিমাণ তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে যা মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য যথেষ্ট। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, এখন তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। আদালত অভিযোগ গঠন করলে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রথম মানবতাবিরোধী মামলা
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ (Awami League) সরকারের পতনের পর আন্তর্বর্তীকালীন সরকার (Interim Government) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে। এই পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের অধীনেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলা করা হয়।
পরে মামলায় যুক্ত করা হয় আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে, যিনি সে সময় পুলিশের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, গুলি চালানো এবং অসংখ্য হতাহতের ঘটনা।