বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে থাকে বিভিন্নভাবে। এই সমস্ত অর্থ বিদেশে পাচার করে সেখানে অনেক নেতা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিলাসবহুল দামি গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন। এবং সেই সাথে মোটা টাকা বিনিয়োগ করে স্থায়ী হওয়ার জন্য ব্যবসা শুরু করেছেন। এবার যুক্তরাষ্ট্রে বহু সংখ্যক বাড়ি কেনার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়ার (গোলাপ) বিরুদ্ধে।
গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কেনার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, এনবিআর চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. আবদুস সোবহান মিয়ার (গোলাপ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়ি কেনার একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বা ওসিসিআরপি তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া (রোজ) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি এ কথা উল্লেখ করেননি।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে প্রথম অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। সে বছর তিনি নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। পরবর্তী পাঁচ বছরে, তিনি নিউইয়র্কে মোট ৯টি সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)।
মোঃ আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি দলের কমিটিতে কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদকও ছিলেন।
প্রসংগত, দেশের শ্রমিক শ্রেনীর মানুষেরা বিদেশ গিয়ে শ্রম দিয়ে দেশের জন্য টাকা আনছেন আর সেই টাকা এক শ্রেনীর দূর্নীতিবাজেরা বিদেশে পাচার করছে যারা বেশিরভাগ ধনী এবং প্রভাবশালী। এই ধরনের অর্থা পাচার রোধে সরকার কাজ করলেও দূর্নীতির চ্যানেলের মাধ্যমে তারা ঠিকই কৌশলে বিদেশে অর্থ পাচার করে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে সরকারের আরো কঠোর পদক্ষেপে যাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।