বাংলাদেশের বর্তমান বিদায়ী রাষ্ট্রপতি হলেন আব্দুল হামিদ। আর কিছু দিনের মধ্যে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে তার। আর ঠিক তার আগেই তিনি পেলেন বড় এক সুখবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে। আর এই খবর এখন সারা দেশের মিডিয়ার সংবাদের শিরোনাম।
জানা গেছে আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন সদরের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির পৈতৃক বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে হাওরের ২০ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করা হবে। এর সাথে থাকবে গরু-মহিষের দুধ থেকে তৈরি ঐতিহ্যবাহী অষ্টগ্রাম পনির।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সফরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ড. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে সেনানিবাসের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামিন সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সফরের দিন দুপুরে কামালপুরের মিঠামিন সদরে আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়িতে অতিথি হিসেবে থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. সেখানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজ করবেন।
রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক বলেন, হাওরের তাজা মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী অষ্টগ্রাম পনির অনেক পছন্দ করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মিঠামইন সফরের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায়। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে হাওরবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের হাওরবাসীর আর কোনো দাবি নেই। হাওরের উন্নয়নের জন্য তিনি সব কিছু করেছেন। তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ থাকব। প্রধানমন্ত্রীর হাওড়ায় আসা আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
রাষ্ট্রপতির বাসভবনে মধ্যাহ্নভোজের পর বিকেল ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাডে জনসমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে প্রথম বারের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিঠামইন শহরে যান সফর করতে। এরপর আর তিনি যাননি সেখানে। আর সে সময়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ছিলেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার। আর সেই থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মিঠামইনে না যাওয়াতে এবারের আয়োজনটি অনেক বেশি জমকালো করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।