আর্জেন্টিনা-বাংলাদেশ ভৌগোলিক ভাবে এই দেশ দুটির অবস্থানগত দূরত্ব ১৭ হাজার ৫০ কিলো মিটার। তবে ফুটবল এর ভালোবাসা এই দেশ দুটিকে করে দিয়েছে এক। আর এই কারণে ৪৫ বছর পর বাংলাদেশে দূতাবাস খুলেছে আর্জেন্টিনা। তবে শুধু দূতাবাস খুলেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে বসে থাকেনি দেশটি। একের পর এক জানাচ্ছে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর।
জানা গেছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরোর মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
স্বাক্ষরের পর বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য ব্লক মেরকোসুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছে। দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে—সরকার তা কাজে লাগাতে চায়।
এ দেশে তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ আর্জেন্টিনায় পোশাক রপ্তানি করবে। দেশের জনসংখ্যা ২৭ কোটি। সরকার সেই বাজার ধরতে চায়। আর বাংলাদেশ আর্জেন্টিনা থেকে গম, চিনি, সূর্যমুখী ও সয়াবিন তেল আমদানি করবে।
এদিকে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বলেছেন, ফুটবল দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। তার দেশ এই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কাজ করবে।
গেলো কাটার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রতিবারের ন্যায় আর্জেন্টিনাকে জানিয়েছেন অকুন্ঠ সমর্থন। আর এই সমর্থন ছুঁয়ে গেছে আর্জেন্টিনাকেও। যার ফলে এই দেশ দুটির মধ্যে আরো বেশি সম্পর্ক গভীর করতে দেশটি দূতাবাস খুলেছে বাংলাদেশে। এবং দুই দেশের কূটনৈতিকদের আশা এখন একটাই এভাবে যেন ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে এই দুই দেশের মধ্যে।