বাংলাদেশ সরাকরের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্ম তুলে ধরেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এই সরকার মানুষের প্রয়োজনের দিকটি সব সময় বিবেচনায় রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু একটি দল তারা সেটা সহ্য করতে না পেরে ভালো দিকটাকেই মানুষের কাছে খারাপ ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। তখন অনেকে গায়ে পারফিউম লাগিয়ে নামবেন। বিভিন্ন কথা বলে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। নির্বাচন এলে যারা বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ বা বিভিন্ন দুর্যোগ-দুর্বিপাকের সময় তারা কোথায় ছিলেন। মিথ্যা আশ্বাস থেকে সাবধান হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমি মানুষ, আমি মানুষ, মানুষ মাত্রই ভুল করে। সেজন্য আমি ক্ষমা চাই। গত ১৪ বছরে আমি আমার জন্য সবার দরজা খোলা রেখেছি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে যখন আমি আপনার দরজায় আসবো, তখন আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখেন, এই প্রত্যাশা করি।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত উপকারভোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এ ভাতা চালু করে। যা আগের কোনো সরকার করতে পারেনি। কিন্তু পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে একজন সুবিধাভোগীও বাড়ায়নি; বরং তারা ভাতা প্রদানে স্বজনপ্রীতিমূলক অনিয়ম করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এখন প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ভাতা পাচ্ছে। আগের রাজা-বাদশাহদের গল্পের মতোই এখন মানুষের মোবাইল ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা পেয়ে যাচ্ছে। মানুষ বিনা পয়সায় চাল-ডাল-তেল পাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে তা বন্ধ হবে। আমাদের সরকার আবার ক্ষমতায় এলে সুবিধাভোগীদের তালিকায় আরও বেশি লোক নিয়ে আসবে।
তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারনাই চালিয়েছেন। এদিকে আগামি নির্বাচনে আ.লীগ ফের ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদি। এদিকে আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাপকভাবে বাড়বে বলেও তিনি জানান।