বিএনপি (BNP)–র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু (Shamsuzzaman Dudu) এক টকশোতে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগ (Awami League) এই প্রথমবারের মতো নিষিদ্ধ হচ্ছে না। এর আগেও দলটির প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman) ১৯৭৫ সালে নিজেই দলটি নিষিদ্ধ করেছিলেন।
রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ
দুদু বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো কিছু নিষিদ্ধ করার পক্ষে না। একটি খারাপ কবিতার জবাব ভালো কবিতা দিয়ে, খারাপ গানের বিপরীতে ভালো গান গেয়ে দিতে পারলে সেটিই বেশি কার্যকর।” তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হওয়া উচিত। প্রশাসনিক কিংবা আইনি পদ্ধতিতে কোনো মতবাদ বা দলের নিষিদ্ধকরণ স্থায়ী সমাধান নয়।
১৯৭৫ সালের চতুর্থ সংশোধনীর প্রেক্ষাপট
দুদু ব্যাখ্যা করে বলেন, ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল (BAKSAL) গঠন করেছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দল বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং এর ‘নির্মম ফলাফল’ জাতিকে ভোগ করতে হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সমঝোতার আহ্বান
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আজকের পরিস্থিতিতে আমাদের আসল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্রের উত্তরণ না ঘটলে বর্তমান ব্যবস্থা টিকবে না।”
তিনি আরও বলেন, যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিচ্ছে, তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি ও জনসমর্থন নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তার মতে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে পথ খোঁজা উচিত ছিল।
আন্দোলনে বিএনপির ত্যাগের কথা তুলে ধরলেন
দুদু দাবি করেন, “হাসিনা সরকারের পতনের দাবি একা কারও অর্জন নয়। বিগত ১৬ বছরে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনে অনেক নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছে, গুম হয়েছে বা নিখোঁজ রয়েছে।” তিনি জানান, প্রায় সাড়ে চার হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী এই সময়ে নিখোঁজ বা নিহত হয়েছেন।