বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম আলোচিত অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ২২ গজের মাঠের পাশাপাশি ডিভোর্স না দিয়েই অন্যের স্ত্রীকে জীবন সঙ্গিনী করে রীতিমতো গত বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। তবে এদিকে তামিমের আগের ঘরের স্বামী রাবিক হাসান তাকে পুনরায় সংসারে ফেরত নিতে চান না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তারা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ছুটছেন। আদালত সর্বত্র আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। সত্য এখন সবার সামনে। আমরা আশাবাদী ইনশাআল্লাহ ন্যায় বিচার পাব।
তামিমা ফেরার পর তার সঙ্গে তার পরিবার থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী আগে তাদের শাস্তি পেতে হবে। আমরা আগে সবকিছু প্রমাণ করি, তারপর সে আসবে কি না, আমি নেব কি নেব তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। সেটা নিয়ে পরে ভাবব।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তালাক না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুরশিদ আহমেদ রিভিশন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাসির-তামিমার বিচারে কোনো বাধা নেই।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বাদী ও আসামিদের আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার।
একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে তাদের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু রিভিশন করেন। এদিকে সুমি আক্তারকে মুক্তি দিতে আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীর আইনজীবী ইশরাত হাসান। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে, তামির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের একটি আট বছরের মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। পরে তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে তিনি পত্রিকায় ঘটনার পুরো বিবরণ জানতে পারেন।
আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে রাকিবের সাথে চলমান বৈবাহিক সম্পর্ক থাকার সময় তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছিলেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসিরের প্রলোভনে তাম্মি। তাম্মি ও নাসিরের অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছরের মেয়ে মারাত্মকভাবে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। অভিযুক্তদের আচরণে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
যদিও এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নাসির এবং তামিম দুজনেই সংবাদ মাধ্যমে দাবি করেছেন, তারা ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই বিয়ে করেছেন। তাদের বিপাকে ফেলতেই এমনটা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তারা।