গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়িতে। আর এটা এখন বাংলাদেশের একটি আলোচিত বিষয়। এ দিকে এই বিষয় নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে তার থেকে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর খাবারের তালিকা নিয়ে। এ নিয়ে এবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
দাওয়াত খাওয়ার সংস্কৃতি অনেক পুরানো।ছোট বেলায় খুব দাওয়াতে যেতাম। এই সংস্কৃতির সাথে,একটি পুরানো অভ্যাসও আছে আমাদের। দাওয়াত থেকে ফিরলেই যে কাউকে জিজ্ঞেস করা, কি দিয়ে খেয়ে আসলেন? খাবার আইটেম কি কি ছিলো, রান্না কেমন ছিলো।
ছোটবেলায়, একবার আমিও কাকে যেন এই কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। সাথে সাথেই বিড়াল তাড়ানোর লাঠির আঘাত আমার পশ্চাদদেশে পরলো। ওমাগো বলে চিৎকার দিয়ে পিছন ফিরে তাকিয়েই দেখি সাক্ষাৎ যম পিছনে দাঁড়ানো। তিনি আমার মা, চোখ রাঙিয়ে বললেন, “এতো ছোট লোক হইছোস ক্যান? যার যেমন সামর্থ্য সে তা দিয়েই খাওয়াবে, জিজ্ঞেস করাটা ছোটলোকি।” এরপর থেকে কারও বাসার টেবিলে খাবার দেখলেই ঐ কথা মনে পরে।
এখন যুগ বদলাইছে।দাওয়াতের প্রিন্টেড খাবার ম্যানু এখন মিডিয়াতে চলে আসে। ফলাও করে প্রচার করতে দেয়া হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মিডিয়াতেই দেখেছি, আগেরদিন রাষ্ট্রপতি খাবার ম্যানু সংক্রান্ত মিডিয়ার প্রশ্নটি বুদ্ধিমত্তার সাথে এড়িয়ে গেছেন। এরপরও, খাবার ম্যানু মিডিয়াতে চলে আসলো, কে দিলো?
আরেকটি ঘটনা, ২০১৮ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দকে গণভবনে দাওয়াত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।ঐদিন তারা গণভবনে যাবার আগেই সেই তালিকা যেভাবেই হোক মিডিয়াতে চলে আসে। সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক বিক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। বিষয়টি গোপন রাখতে না পারার দায়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের তিরস্কারও করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে গতকাল রাষ্ট্রপতির বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খেয়ে ঢাকায় ফিরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তার খাবারের তালিকায় ছিল বেশ এলাহী একটি কান্ড। বিশেষ করে প্রায় ২৩ প্রজাতির মাছ দিয়ে রাষ্ট্রপতি আপ্পায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।