বিএনপি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেওয়ার দাবি জানালেও সরকার অনড় রয়েছে। এদিকে দলটির নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য আন্দোলন চালিয়ে গেলেও তেমন কোনো সফলতা পাচ্ছে না। সম্প্রতি খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আ.লীগের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। এরই প্রেক্ষাপটে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানিয়েছেন, সম্পুর্ন রূপে মুক্ত হওয়ার পরেই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে ফেরার প্রসংগ আসবে
তিনি বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তারপর অন্য কিছু।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জাতীয়তাবাদী যুবদলের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের টাকা লুটপাট ও পাচারের জন্য একের পর এক মেগা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে আসছে।
তিনি বলেন, আজ নিত্যপণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মুদ্রাস্ফীতি প্রবল। মানুষ চাল কিনতে পারছে না। ওএমএস বন্ধ হয়ে গেছে। এখন কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি করতে চায়। এর মাধ্যমে নতুন করে দুর্নীতি করা যাবে। আসলে তারা দুর্নীতিবাজ সরকার। বিদ্যুৎ নিয়ে তারা আদানির সঙ্গে যে চুক্তি করেছিল তাতে কোনো লাভ হয়নি। বিপরীতে, আদানিকে কেবল ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। তাই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সেই জন্য আমাদের একটি পথ। তা হল আন্দোলন আন্দোলন এবং আন্দোলন।
জনগণের যখন নাভিশ্বাস উঠছে তখন সরকার পিকনিকের মুডে আছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে জীবন বাজি রেখে আমরা সরকার পরিবর্তন করতে বদ্ধপরিকর।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে হবে। তবেই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। গণবিরোধী সরকারকে হটাতে যুগপৎ আন্দোলনে যুবদল আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
প্রসংগত, বিএনপি যেভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত দলটির লক্ষ্য পূরন হবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দলের অনেক নেতাকর্মী। এদিকে আ.লীগ সজাগ দৃষ্টি রেখে চলেছে যাতে বিএনপি বা অন্য কোনো দল যাতে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে। সব মিলিয়ে দেশের রাজনীতি এখন ভিন্ন পরিবেশে রয়েছে।