চলমান বছরের হজ পালন করার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন এবং হজ নিবন্ধনের তালিকায় ওয়েটিং লিস্টে রয়েছেন তাদের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। তবে এবার খরচ বেড়ে যাওয়ার কারনে অনেকেই হজে যাচ্ছেন না। গত বছরের তুলনায় এবার হজ পালন করতে কয়েক লাখ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। যার কারনে হজ পালনেচ্ছুকদের সংখ্যাও কমে গেছে।
কোটা পূরণ না হওয়ায় এ বছর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময়সীমা ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ সিরিয়াল আগের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ৪৫ হাজার ৫১৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের শেষ সিরিয়াল আগের সিরিয়াল রেখে ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে, নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “কোটা পূরণ না হওয়ায় হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের নিয়ম হলো কোটা পূরণ না পর্যন্ত পর পর ডাকতে থাকব। কারণ অনেক হাজীরা ওয়েটিং লিস্টে আছেন। কিন্তু আমাদেরও একটা সময় আছে। যতদিন সুযোগ আছে, দিচ্ছি।
এর আগে, সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল যে, এই সময়ের মধ্যে যারা সরকারী এবং বেসরকারী উভয় ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য বার্তা পেয়েছেন তারা নিবন্ধন করতে পারবেন। এর আগে নিবন্ধনের সময়সীমা ছিল ২২ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে চলতি বছর হজ ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। এ জন্য হজযাত্রীদের আপাতত তাদের পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
ঈদুল আযহা উদযাপনের মধ্য দিয়ে হজ শেষ হয়, যা ইসলামের দুটি প্রধান উৎসবের একটি। হজ হল সাধারনত অনুষ্ঠান যা পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে সমাপ্ত করা হয়। হজ যাত্রীরা বিশেষ পোশাক পরা, কাবাকে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, আরাফাতের ময়দানে দাঁড়ানো, মুজদালিফায় একটি রাত কাটানো এবং মিনায় তিনটি স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপসহ একাধিক ধর্মীয় আচার পালন করে থাকেন।