আদানি ভারতের অন্যতম একজন ধনকুবেরের নাম। তবে ভারতের থেকে বাংলাদেশে এখন এই নামটি বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। আর এর কারণ একটাই তা হলো এই আদানির প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ নিয়ে একটি চুক্তি। এ দিকে এই চুক্তির পর থেকেই দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের সব সমস্যা। এবার এ নিয়ে একটি লেখনী লিখেছেন জিয়া আহসান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
আদানির সাথে কন্ট্রাকটা বাংলাদেশ কখনই বাতিল করতে পারবে না- এইটা প্রচণ্ড ফলটি একটা চিন্তা কাঠামো।এই অবস্থানটা আপনার ফ্রেম অফ থিঙ্কিংকে প্রচন্ড ডিফেন্সিভ অবস্থায় নিয়ে যায়।
রিয়ালিটি হচ্ছে, বাংলাদেশ যে কোন সময়ে কন্ট্রাক্টটা টারমিনেট করতে পারবে এবং যার প্রতিক্রিয়ায় আদানি আরবিট্রেশানে গিয়ে রেমেডি চাইতে পারবে।
ইস্যু হচ্ছে, বাংলাদেশ আরবিট্রেশানে যেতে চায় কিনা। বা গেলে হেরে যাওয়ার ঝুকি কি ? হেরে যাওয়ার ফলে যা পরিমান অর্থ পরিশোধ করতে হবে,সেইটা বছর বছর চুক্তির সময়কালে যে দায় নিতে হবে,তার থেকে বেশী কিনা ?
এবং আরবিট্রশানে গেলে রেপুটেশানের যে ক্ষতি হবে, তার ফলে, আমাদের আগামীতে পাওয়ার ও এনার্জিতে বিনিয়োগ প্রয়োজন সেই বিনিয়োগ ঝুকি পূর্ণ হবে কিনা।
বামপন্থীরা আপ্নারে যাই বোঝাক না কেন, আমাদের এনার্জি সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে বা এমন কি সমুদ্র পৃষ্ঠের গ্যাস উত্তোলন করতে বিদেশী বিনিয়োগ লাগবে। ফলে, ডিফল্ট ফরস করে ,আদানিকে আরবিট্রশনে যেতে বাধ্য করার যে রিস্ক, সেইটা আমাদের জন্যে অর্থ ইট কিনা ?
ফলে, আমি যে আপনাকে ডেইলি স্টারের লিগাল এডভাইজারের চিন্তার ফ্রেমওয়ারক থেকে বের হয়ে আসতে বলেছি, এইটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। ডেইলি স্টার তাদের নাম প্রকাশে ইচ্ছুক শীর্ষ স্থানীয় উকিলের বরাতে যে লিখেছে, there is virtually no scope for BPDB to get out of this contract for power purchase from the plant- এইটা সঠিক চিন্তার ফ্রেম ওয়ার্ক নয়। সঠিক ফ্রেমওয়ারক হচ্ছে,বাংলাদেশ যে কোন সময়ে, বাংলাদেশ চুক্তির ৪ নাম্বার অধ্যায়ের টারমিনেশান ধারার অধীনে- ডিফল্ট কে ফরস করে – চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আরবিটেসান কোর্টে, বাংলাদেশের আরজি টিকবে কিনা প্রশ্ন হচ্ছে তার পর ডেমারেজ কি দিতে হবে।
এইটা যদি আমরা এগ্রি করি, তাহলে আমি পরের স্ট্যাটাসে লিখবো।
সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আদানি কে চাপ দিয়ে এই চুক্তি রিনেগোসিয়েট করার বা এমনকি সম্পূর্ণ বাতিল করার খুব হাইলি পটেন্সিয়াল দুইটা সুযোগ আমি এবং আমার বন্ধুরা দেখি ? এই সুযোগ দুইটা কি ?
প্রসঙ্গত, এ দিকে আদানির সাথে চুক্তি করার পর থেকেই দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের নানা ধরনের জটিলতা। আর এই সব জটিলতার কারনে এখন এই চুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের শংকা। এ ছাড়াও আদানি নিজেও এখন রয়েছেন বেশ বিপাকে। দিন দিন কমে যাচ্ছে তার সম্পদ ও ক্ষমতার পরিমান। আর এই কারণে এখন দেখার বিষয় এই চুক্তির শেষটা কেমন হয়।