তামিমা সুলতানা তাম্মি তার স্বামী রাকিব হাসানকে ডিভোর্স না দিয়েই ক্রিকেটার নাসির হোসেনকে বিয়ে করার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। এদিকে রাকিব এই ঘটনার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এদিকে মামলার বিষয়ে রাকিব বলেন, আমার পক্ষে সব আদালত রায় দিয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে এবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রাকিব হাসান।
আমি চাই ন্যায়বিচার হোক। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির সাবেক স্বামী রাকিব হাসান।
তিনি আরও বলেন, তারা এক আদালত থেকে অন্য আদালতে ছুটছেন। আদালত সব জায়গাতেই আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। সত্য এখন সবার সামনে। আমরা আশাবাদী ইনশাআল্লাহ ন্যায় বিচার পাব।
তামিমা ফেরার পর তার সঙ্গে সংসার করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাকিব বলেন, আইনের প্রক্রিয়া অনুযায়ী আগে তাদের শাস্তি হোক। আমরা আগে সব প্রমাণ করি, তারপরে না চিন্তা করব সে আসবে কি আসবে না বা আমি নেব কি নেব না। সেটা পরে চিন্তা করব।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিভোর্স না নিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুরশিদ আহমেদ রিভিশন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। রাকিব হাসানের আইনজীবী ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাসির-তামিমার বিচার চলতে বাধা নেই।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বাদী ও আসামিদের আবেদনের শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তার।
একই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে তাদের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু রিভিশন করেন। এদিকে সুমি আক্তারকে মুক্তি দিতে আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীর আইনজীবী ইশরাত হাসান।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে, তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদি হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের একটি আট বছরের মেয়েও রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। পরে তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে তিনি পত্রিকায় ঘটনার পুরো বিবরণ জানতে পারেন।
আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে রাকিবের সাথে চলমান বৈবাহিক সম্পর্ক থাকার সময় তাম্মি নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে সম্পূর্ণ অবৈধ। তাম্মিকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তাম্মি ও নাসিরের অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছরের মেয়ে মা”/রাত্মকভাবে মানসিকভাবে বিপ”র্যস্ত। অভিযুক্তদের আচরণে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রসংগত, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সমাজের জন্য একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ এটি ব্যক্তি এবং তাদের সম্পর্ককে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে পরিবার ভেঙে যাওয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে, কারণ অনেক সময় একজন সন্তান ছেড়ে চলে যায় সেই সময় অসহায় হয়ে পড়ে সন্তান নিয়ে ঐ মা বা বাবা। এটি সন্তানদের এবং বর্ধিত পরিবারের সদস্যদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা তাদের জন্য সামাজিক এবং মানসিক সমস্যার দিকে পরিচালিত করে।