সম্প্রতি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে কানাডার টরোন্টোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত হয়ে দেশটির এক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বাংলাদেশের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে। বতমানে তার শারীরিক অবস্থায় আগের থেকে অনেকটাই ভালো বলে জানা গেছে।
তবে এদিকে এবার জানা গেল, কানাডায় এ দুর্ঘটনায় কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের লাইসেন্স বৈধ ছিল। গতকাল পুলিশের দেওয়া এক প্রতিবেদনে ‘প্রপার লাইসেন্স টু ড্রাইভ ক্লাশ অব ভিহিকলে’ উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইয়েস’। সাসপেনডেন্ট ড্রাইভারের উত্তরে লেখা আছে ‘নো’। প্রতিবেদন অনুসারে, নিবির কুমার দে একটি বৈধ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিভির কুমারের দ্বারা চালিত গাড়িটি ছিল একটি ‘2017 BMW M3S’, দুর্ঘটনার পর প্রাদেশিক পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে গাড়িটি ১০০+ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে যাচ্ছিল। মোট ৪ জন যাত্রী ছিল যার মধ্যে ৩ জন মারা গেছে।
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবির কুমার দে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরন্টোতে অবস্থান করছেন।
শওগাত আলী সাগর বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কথা বলছেন, যা প্রমাণিত তথ্য নয়। তিনি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভিত্তিহীন তথ্য’ ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সংবেদনশীলতা প্রকাশ না করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, নিবির চাচা অভিজিৎ দে ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ তাদের সংঘর্ষের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি দিয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, তারা দুর্ঘটনায় মাদক বা মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা পাননি। অভিজিৎ দে আরও জানান, পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় টরন্টোতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। আহত হন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবির কুমার। টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুন্দাস স্ট্রিট ওয়েস্টে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সড়ক বিভাজকের সাথে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়।
এদিকে কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্তর মৃতদেহ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী স্বজনদের এখন একটাই দাবি, আর তা হলো সুষ্ঠু বিচার।