দাম্পত্য জীবনের মাত্র ১৭ বছরের মাথায় দুই মেয়ে কারিনা ও কারিশমা কাপুরকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে ছিলেন ববিতা। সময়টা ছিল ৮০-র দশকের মাঝামাঝি। তবে দাম্পত্য কলহের জের ধরে বাবা-মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘটনায় বুকে চাপা কষ্ট ছিল কারিনা ও কারিশমার।
তাদেরকে অবাক করে দিয়ে অভিমান ভুলে এক হয়েছেন ববিতা ও রণধীর। সম্প্রতি রণধীরের বান্দ্রার নতুন বাড়িতে ব্যাগপত্র গুছিয়ে থাকতে চলে গেছেন ববিতা। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্থান টাইমসের।
এই খবরে কারিনা-কারিশমার আনন্দ কে দেখছেন। এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও বাবা-মা একে অপরের যত্ন নিতে পারেন।
বিয়ের 17 বছর পর ববিতা তার দুই মেয়ে কারিনা ও কারিশমাকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। চেম্বুরে তার বাংলো ছেড়ে লোখান্ডওয়ালায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন আরকে।
তারপর দীর্ঘ ৩৫ বছর কেটে গেছে। কেউ একে অপরকে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ দেয়নি। ববিতাও রণধীরের সমস্যার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ববিতাও কাপুরদের ঘরের স্ত্রী হিসেবে সব দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বেশিদিন একসঙ্গে থাকেননি তারা।
জানা গেছে, গত সাত মাস ধরে বান্দ্রার বাড়িতে একসঙ্গে থাকছেন ববিতা-রণধীর। এমনকি ২০০৮ সাল নাগাদ বলিউডের এই দুই কিংবদন্তি জুটি একসঙ্গে থাকবেন বলে শোনা গিয়েছিল। পরে রণধীর নিজেই জানিয়েছেন, আপাতত এমন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে রণধীর বলেছিলেন তাদের মধ্যে মূল সমস্যা কী। সে সময় কারিনার বাবাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তার কাছে ভয়ঙ্কর মানুষ ছিলাম।
যে প্রতিদিন মদ খায় সে দেরী করে বাড়ি আসে। আর এসব তিনি মোটেও পছন্দ করেননি। আমি তার মতো হতে চাইনি, এবং সে আমাকে আমার মতো গ্রহণ করতে পারেনি।
ভালোবেসে বিয়ে করেও আমরা আলাদা হয়ে যাই। তিনি দুটি মেয়েকে খুব সুন্দরভাবে মানুষ করেছেন। কর্মজীবনেও তারা সফল। বাবা হিসেবে এর চেয়ে বেশি আর কী চাইতে পারি!
১৯৬৯ সালে, রণধীর তার বাবা রাজ কাপুরের সাথে শুটিং সেটে গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি ববিতাকে প্রথম দেখেছিলেন।
সেই সময় প্রেম, তারপর প্রেম। কিন্তু সবকিছুই চলছিল গোপনে। এরপর রাজ কাপুর তাকে ধরে ফেলেন।
উল্লেখ্য, দীর্ধদিন প্রেমের পর ১৯৭১ সালে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হন আলোচিত তারকা দম্পতি। তবে শেষমেষ মান-অভিমান ভুলে আবারো একই ছাদের নিচে তাদের দেখতে পেয়ে আনন্দিত ভক্ত-শুভাকাঙ্খীরা।