বর্তমান সময়ে দেশে রাজনীতি কিছুটা ভিন্ন ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি, অন্যদিকে আ.লীগ বিএনপির সমালোচনার কঠোর জবাব দিয়ে যাচ্ছে। এবার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির আন্দোলন নিয়ে বেশ কড়া এবং রসিকতা দিয়ে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিবিদদের দুর্ভাগ্য যে তাঁরা প্রয়াত হওয়ার পর কিছুদিন বেঁচে থাকেন। ‘এরপর সবাই ভুলে যায়। তখন পরিবারই আনুষ্ঠানিকতা, মিলাদ-মাহফিল করে থাকে।’
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির একটি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণসভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয়ভাবে আমরা খুব কম নেতাকেই স্মরণ করি। মন্ত্রী জাবেদ আজ সেখানে থাকায় আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকী এখন ভালোভাবে পালিত হচ্ছে। নওফেল আছে বলেই মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুদিবস ভালোভাবে পালন করা হয়। এই চট্টগ্রাম অনেক রাজনৈতিক তারকার জন্মস্থান।’
চট্টগ্রামের সব নেতা একে একে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, কেউ যায়, কেউ আসে। শূন্যপদও পূরণ করা হচ্ছে। কারো জন্য কিছুই অপেক্ষা করে না, থেমে থাকে না। তারপরও দলটাকে একটা দলের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। মরহুম মুসলিম উদ্দিন দলের প্রতি অনুগত ছিলেন। সংগ্রাম, অত্যা”/চার, জেল-জু”লুম তাকে দমাতে পারেনি। তিনি চট্টগ্রামের একজন আপসহীন সন্তান।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলন মন্থর হয়েছে, গলার জোর কমেছে। খালেদা জিয়া ১০ তারিখ দেশ দখল করে পরদিন খালেদা জিয়া দেশ চালাবে। তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নেবে। হাম্বিতম্বি এখন কোথায় গেল? লালকার্ড থেকে নীরব পদযাত্রায় এসেছে। নিরব পদযাত্রার পর হচ্ছে নিরীহ মানববন্ধন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁদের গলায় যত জোর, আন্দোলনে তত জোর নেই। আওয়ামী লীগকে ভয় পায় বিএনপি। বিএনপি জানে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জিতবে। এ কারণে তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও নির্বাচনকে ভয় পায়। এ কারণে তারা নির্বাচনে আসতে চায় না।
আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, “হাওয়া ভবনের ডা”/কাতির ঘটনা দেশবাসী ভোলেনি। কারা আমেরিকা ও সিঙ্গাপুরে টাকা পাচার করেছে তা সবাই জানে। বর্গীর চেয়ে বিএনপি ডা”/কাতরা বেশি ভয়ং”/কর। এরা ক্ষমতায় গেলে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জয় বাংলা, স্বাধীনতার আদর্শ গিলে খাবে।’
স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, সিরিয়াল আমার ছিল, কিন্তু মোছালেম উদ্দিন আমার আগেই চলে গেলেন। নেত্রী যখন পলো গ্রাউন্ডে সমাবেশে আসবেন, তখন তিনি ক্যা”ন্সারের রোগী। সিঙ্গাপুর থেকে আসছে। আর একবার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জনসভা সাফল্যমণ্ডিত করতে কাজ করেছে।’
উল্লেখ্য, বিএনপি বর্তমান সময়ে আন্দোলন বেগবান করার চেষ্টা করলেও টেমন গতি আনতে পারছেন নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে। তবে সঠিক সময়ে সবকিছু হবে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির অনেক নেতা। এদিকে সংবিধান পরিবর্তন করার দাবিও তুলেছেন তারা।