সাকিব আল হাসান বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের একটি নন্দিত নাম। তিনি মাঠে নামলে তার পারফর্মেন্সের দিকে তাকিয়ে থাকেন তার দর্শকেরা। এই তারকা খেলোয়াড় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং ক্ষোভে ফেটে পড়তেও দেখা গেছে। এবার তিনি একটি ভিন্ন ধরনের কান্ড করে ফের আলোচনায় এসেছেন।
শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্বস্তির জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়াও, ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র ১৪ তম ক্রিকেটার হিসাবে সাকিব এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যেই তার কৃতিত্বকে সম্মান জানাতে ক্রেস্ট তৈরি করতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন সাকিব।
সোমবার চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এই মাইলফলক পৌঁছনো থেকে চার উইকেট দূরে ছিলেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব। ম্যাচে তার বোলিং ফিগার ১০-০-৩৫-৪। এতে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেটের গর্বিত মালিক হন সাকিব। ২২৭তম ওয়ানডেতে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া ১৪তম বোলার তিনি।
সাকিবকে সম্মান জানাতে এরই মধ্যে ক্রেস্ট প্রস্তুত করে রেখেছিল বিসিবি। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট নিতে রাজি হননি সাকিব। তিনি তিনি নামও ঘোষণা করতে নিষেধ করেন। এ সময় তাকে বেশ রাগান্বিতও দেখা যায়।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন না।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, তাকে পরবর্তীতে এই সম্মানসূচক ক্রেস্ট দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে যা নেননি তা তিনি পরে নেবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
সাকিব আল হাসান হলেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবে বিবেচিত।
সাকিব ২০০৬ সালে বাংলাদেশের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল এবং তারপর থেকে তিনি খেলার তিনটি ফরম্যাটেই খেলেছেন – টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক (ODI), এবং T20 International (T20I)। তিনি দক্ষ ব্যাটসম্যান এবং একজন বাঁ-হাতি স্পিনার হিসাবে তার ব্যতিক্রমী দক্ষতার জন্য পরিচিত এবং কয়েক বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে অনেক জয়ের মূল খেলোয়াড়। সাকিবও তার ক্যারিয়ার জুড়ে বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন, যার মধ্যে আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ২০১৯ সালে স্থগিতাদেশ পান। তা সত্ত্বেও, তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানিত খেলোয়াড় এবং বাংলাদেশ এবং তার বাইরের উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রিকেটারদের জন্য একটি রোল মডেল।