কথায় আছে, শিক্ষক নাকি মানুষ গোড়ার কারিগর! সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার হাপানিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার মডেল বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই প্রশ্ন করছেন, সে কি আসলেই একজন শিক্ষক না কি অন্যকিছু।
গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্তে ওই শিক্ষকের ভাড়াটিয়া শি’ল্পীর সঙ্গে অ’শ্লী’ল অ’ঙ্গভ’ঙ্গির ভিডিও প্রকাশ হয়। স্কুলের এক ছাত্র ভিডিওটি রেকর্ড করে বন্ধু এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী গানের তালে মঞ্চে নাচছেন এবং স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফিন কবির খোকন জোয়ার্দ্দার মাইক্রোফোন হাতে নিতম্ব দুলিয়ে তার সঙ্গে তাল মেলাতে চেষ্টা করছেন। যুবতী বারবার সড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরেক শিক্ষক আরিফিন কবিরকে নিবৃত করেন।
এ ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। অনেকে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের আচরণ যদি এমন হয়, তাহলে আমাদের শিশুরা কী শিখবে? আমরা জানি, শিক্ষকরা মানুষকে ভিতর থেকে মানুষ বানানোর কারিগর। কিন্তু, শিক্ষকের আচরণ যদি এতই কুৎসিত হয়, তাহলে আর কী করার আছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক আইডিতে বলা হয়েছে, ‘শুধু শিক্ষককে দোষারোপ করলে চলবে না। আমি মনে করি সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা সমস্যা। কারণ এ ধরনের নৃত্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুষ্ঠানেই উপযুক্ত নয়। আমরা বইয়ে পড়েছি, শিক্ষকরা মানুষ তৈরির কারিগর। কিন্তু, যেখানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ হয়, সেখানে আর কী আশা করা যায়। তবে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করা উচিত। প্রত্যেক স্থানীয় অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। যাতে কোনো মেধাবী শিক্ষক এবং মূর্খ, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যবস্থাপনা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আসতে না পারে।
আরেকটি ফেসবুক আইডি থেকে আরেকটি মন্তব্যে বলা হয়, শিক্ষকরা জাতি গঠনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। শিক্ষকতা বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত পেশা। যেখানে শিক্ষকরা অযোগ্য সেখানে উন্নত দেশ আশা করা হাস্যকর।’
এদিকে এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব না দিয়েই সেখান থেকে চলে যান। এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।