বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লক্ষাধিক মুসল্লিরা হজে গিয়ে থাকেন সৌদি আরব। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় চলমান বছরে হজযাত্রীদের সংখ্যা অনেক কম হতে পারে। এর অন্যতম কারন হলো হজ পালনে খরচের পরিমান। যার কারনে প্রাক-নিবন্ধন বহুসংখ্যক মানুষ করে থাকলেও মানুষ চুড়ান্ত নিবন্ধন করছেন না। যার কারনে রেজিস্ট্রেশনে মেয়াদ ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বছর হজযাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়িয়ে ৯ দিন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানান। তবে সময় বাড়ানোর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ধ্যায় জানানো হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ নিবন্ধন পদ্ধতি অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৯৩ জন নিবন্ধন করেছেন। বেসরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৯ জন এবং সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৯৯ জন। এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ২৯২ জন নিবন্ধন করেছেন। মোট কোটা থেকে এখনো ৬৭ হাজার ৯০৬ জন বাকি।
২০২৩ সালে, হজে যেতে ইচ্ছুক ২,৪৯,২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ৮ হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধনকারীদের চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল গত ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় এই সময়সীমা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু কোটা পূরণ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয় ৭ মার্চ পর্যন্ত।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার উভয় প্যাকেজই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। মক্কা-মদিনায় বাড়ি-ভাড়া ও তাঁবুর খরচ বেড়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে যে পরিমান মুসল্লিরা হজে গিয়ে থাকে সেটা এ বছর কম হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অনেকে। অনেকে জানিয়েছেন, যে খরচের পরিমান বাজেট করা হয়েছিল সেটা এখন অনেক বেশি, যার কারনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ বছর হজে যাওয়ার বিষয়টি। অন্য দেশ থেকে হজে যাওয়ার খরচ অনেক কম, কিন্তু বাংলাদেশ বেশি, বলে তারা জানিয়েছেন।