গত পরশু অর্থাৎ ৫ মার্চ রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় অবস্থিত একটি ভবনে ভ”/য়াবহ বি”/স্ফোরণের ঘটনা ঘটে যার কারনে সেখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এবার ঠিক এক দিন পরে গুলিস্তানের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিস্ফোরণে ১৪ জনের প্রয়ানের খবর পাওয়া গেছে। গুলিস্তান এলাকায় বি”/স্ফো”রণের সময় রাস্তার বিপরীত পাশে ছিলেন মো. হাবিব, তিনি ঘটনা সম্পর্কে বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পেলাম।
এরপর পেছনে তাকিয়ে দেখি চারপাশ ধোঁয়ায় অন্ধকার। আমার পাশে থাকা কয়েকজনের শরীরেও কাচ, ইট এসে লাগে।
আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, রিকশায় যাত্রী নামিয়ে মাত্র দাঁড়িয়েছি। এ সময় খুব জোরে শব্দ হয়। তখন আমার হাতে কিছু এসে লাগে। তাকিয়ে দেখি কাচের টুকরা। একটু রক্ত বের হয়। তারপর চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম অন্ধকার আর লোকজন দৌড়াচ্ছে।
চা বিক্রেতা শারমিন বলেন, আওয়াজ এতটাই জোরে ছিল যে, আমার কান তালা লেগে গিয়েছিল। তখন দেখি চায়ের কেটলি নিচে পড়ে গেছে। আর ট্রান্সমিটারে আগুন জ্বলছে।
এদিকে বি”স্ফো/’রণে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি একটি বাস ও একটি রিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসের অধিকাংশ কাচ ভাঙা দেখা যায়। দরজাও ভাঙা। র”/ক্তের দাগ আছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসটি সরিয়ে নেওয়া হয়। বাসটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ঠিক সামনে ছিল। আর একটা রিকশা মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। সামনের চাকা ভেঙে গেছে।
বাসটি ছিল ঠিকানা পরিবহনের। সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় চালক বলেন, বাসের চালক কোথায় আছে জানি না। আমাকে স্যাররা (পুলিশ) সরিয়ে নিতে বলল তাই সরাইলাম। আমি আরেকটা ঠিকানা বাস চালাই। ’
প্রত্যক্ষদর্শী কাওসার আহমেদ জানান, বি”/স্ফো’রণের সময় সম্ভবত বাসটি আটকে ছিল। বি”/স্ফোরণের পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। তখন দেখলাম যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসছে। অনেকের শরীরে র”ক্ত লেগে আছে।
রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে ওই ভবনে বি”/স্ফোরণে এ পর্যন্ত ১৪ জন নি”/হত হয়েছেন। আহ”/ত হয়েছেন পঞ্চাশের বেশি। মৃ”/তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘটনার বিষয়ে অনেকে বলেন, এটা কোনো ধরনের নাশকতার বিষয় হতে পারে। কারন দেশে পরপর এই ধরনের ঘটনার কোনো ভিত্তি নেই যেটা গ্যাস লিকেজ কিংবা এসির বিস্ফোরনের ঘটনার কারনে হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।