আওয়ামী লীগ (Awami League) নিষিদ্ধ ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে দলটির ভবিষ্যৎ ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি (Nilofar Chowdhury Moni)। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে সার্কাস চলছে, আওয়ামী লীগ নিজেই নিজেকে অবাঞ্ছিত করে তুলেছে। ডেভিল হান্টে কয়টা বড় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে? সব তো নাতি-পুতি গ্রেপ্তার হয়েছে।”
নিষেধাজ্ঞা পুনর্বাসনের পথ তৈরি করছে?
বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রেক্ষিতে মনি বলেন, “যে দলগুলো অতীতে নিষিদ্ধ হয়েছে, তারা এক সময় সহানুভূতি কুড়িয়ে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে। আওয়ামী লীগও দুইবার নিষিদ্ধ হয়েছিল। এখনো দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বরং তাদের পুনর্বাসনের পথ তৈরি করা হচ্ছে। এটা ‘ডাবল প্রোমোশন’ হয়ে যেতে পারে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যাওয়ার আগে জানায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। এতে জানায়াত রাজনৈতিক সহানুভূতি পেয়েছিল। এবার আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ও রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণ প্রসঙ্গ
মনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (International Tribunal)–এর বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ তো আগে থেকেই মাঠে নেই।”
তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগ নিজেই নিজেকে রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় করেছে। তাই এ নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে দলটি আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে আসতে পারে, যা বড় ধরনের অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে।”