বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের নিয়ে ঝামেলা নতুন কিছু নয়। প্রায়শই তাদের নানা ধরনের কর্মকান্ড নিয়ে দেশে তৈরী হয় অস্থিরতা। আর এই ঘটনার পেছনেও রয়েছে অনেক ঘটনা এমনটাই মনে করছেন সকলে। আর এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন পারভেজ আলম। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
বর্তমানে কাদিয়ানিদের নিয়ে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে বা সামনে ঘটবে তা পুরোটাই আওয়ামীলীগের সাজানো নাটক। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এই নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।আমেরিকাকে সন্তষ্ট রাখার জন্য এবং দেখানোর জন্য যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে দেশে আবার জঙ্গিবাদ এবং ইসলামী মৌলবাদ বেড়ে যাবে।
যেহেতু জঙ্গি নাটক পাবলিক এখন খায় না। তাই মুসলমানদের ঈমানী শক্তিকে সুড়সুড়ি দিয়ে কাদিয়ানীদের বিপক্ষ বানিয়ে কয়েক বছর অপেক্ষার পর এই ইসলামোফ্যাসিস্টদের মাঠে নামাইছে আওয়ামীলীগ। এরা মূলত আওয়ামী লীগ সরকার ও বিজেপি-আরএসএসের ঘুটি।
খেয়াল করে দ্যাখেন আজকের প্রথম আলোর রিপোর্ট কি বলে–
“আহমদিয়া জামাতের জলসা বন্ধের দাবীতে জুমার পর পঞ্চগড় শহরে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়, মিছিল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহররের চৌরঙ্গী মোড়ে সমবেত হন। তারা মিছিল নিয়ে করতোয়া সেতুর দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বিভিম্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। এর কিছুক্ষন পর চৌরঙ্গী মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশের সিনেমা হলের পাশ থেকে একদল সশস্ত্র লোক মিছিল নিয়ে এসে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। পুলিশ ধাওয়া দিলে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ থামাতে পরে পুলিশের সাথে র্যাব এবং বিজিবি যোগ দেয়।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিনেমা হলের পাশের রাস্তার ঐ সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা কারা?
দেশের মানুষ যখন আদানির সাথে উপনিবেশী চুক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ করছে, তখনই এই ইসলামিস্ট নামধারী ফ্যাসিস্টদেরকে মাঠে নামানো হইল। ইসলামী শাসনতন্ত্র অর্থাৎ চর্মনাই হইল এখন ইসলামপন্থীদের সিপিবি-বাসদ। আর ফজু ব্রাদার্স হইলো ইনু আর মেনন। এরা ডায়লগ দেয় যে এরা কোন পক্ষেই নাই। কিন্তু আসলে আওয়ামীলীগ আর বিজেপির বিটিম হিসাবে ভূমিকা পালন করাই এদের কাজ এখন।
আহমেদিয়া জনগোষ্ঠীকে বলবো যে, এই বছরটা আপনারা একটু সাবধানে থাকেন। সরকার অনুমতি দিলেই, বা উৎসাহ দিলেই কোন কিছু উদযাপন করতে নাইয়া যাইয়েন না। আপনাকে গাছে তুলে সরকার মই কেড়ে নেবে। ধৈর্য্য ধরেন।
বাংলাদেশের সুন্নি জনগোষ্ঠীরও ধৈর্য্য ধারণ করা উচিৎ। ইসলামপন্থী কোন দল বা গোষ্ঠী যদি আহমেদিয়াদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার বর্ণবাদী ও হঠকারী কর্মসূচীর ডাক দেয়, তবে তার ধারেকাছেও যাইয়েন না। এরা আপনাকে পুলিশের গুলির সামনে নামিয়ে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করবে।
কৃতজ্ঞতায়ঃ পারভেজ আলমের পোস্ট।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের দৌরাত্ম নতুন কিছু নয়। অনেক প্রভাবশালী মহলও রয়েছে এর পেছনে। আর এ এই কারণে দেশে অনেক দিন ধরেই আলেমগণ এই সম্প্রদায়কে কাফের ঘোষণা করার জন্য সরকারকে বার বার তাগিদ দিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।