ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার সাম্য (Shahriar Samya) হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (Law Enforcement Agencies)।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রক্তাক্ত হামলা
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাবির শিক্ষার্থী সাম্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (Dhaka Medical College Hospital) এ নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (Suhrawardy Udyan) সংলগ্ন কালীমন্দিরের পাশে।
মোটরসাইকেল ধাক্কা থেকে সংঘর্ষে রূপ
রমনা বিভাগের (Ramna Division) উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম (Masud Alam) জানান, সাম্য এবং তিন যুবকের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় একটি মোটরসাইকেল ধাক্কার ঘটনায়। একপর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলায় অভিযুক্ত দুইজনও আহত হয়ে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন— সেখান থেকেই পুলিশ তাদের আটক করে। আরেকজন পলাতক রয়েছে, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
ঢাবি ছাত্রদল ও সহপাঠীদের শোক
ছাত্রদলের (Chhatra Dal) দপ্তর সম্পাদক ওয়াসী তামী জানান, সাম্য ছিলেন স্যার এ এফ রহমান হল শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও ঢাবির শিক্ষার্থীরা ঢাকা মেডিকেলে ভিড় করেন। জরুরি বিভাগ ও হাসপাতাল চত্বরে মধ্যরাতেও বিপুল সংখ্যক ছাত্র উপস্থিত ছিলেন।
নিহতের পরিচয় ও পটভূমি
সাম্য ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ (Department of International Relations) এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া (Ullapara, Sirajganj) উপজেলায়। থাকতেন স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ
শাহবাগ থানা (Shahbagh Police Station) অফিসার ইনচার্জ মো. খালিদ মনসুর (Md. Khalid Monsur) জানান, ঘটনার বিস্তারিত উদঘাটনে একাধিক তদন্ত টিম কাজ করছে।
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে এবং তার ডান রানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল বলে চিকিৎসকরা জানান।