সম্প্রতি লুট হয়ে গেছে দেশের ডাচ বাংলা ব্যাংকের অনেক টাকা। আর এই লুটের টাকা নিয়ে এখন সবখানে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা। তবে লুট হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত পাওয়া গেছে। পুলিশ উদ্ধার করেছে সব টাকা। তবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে একটি ধোঁয়াশা। আর এই কারণে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জুলকারনাইন সায়ের। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
কালো রংয়ের যে মাইক্রোবাস ব্যবহার করে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা লুট করা হয় সেটা যে দলটি ভাড়া করেছিলো তারা Radisson হোটেলের বিপরীতে গাড়িটি আসতে বলে, সেখানে পৌঁছানোর পরে রেন্ট-এ কারের ড্রাইভারকে পিঠমোড়া করে বেঁধে গাড়ির পেছনে নিয়ে ঢাকা সেনানিবাস-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে দিয়াবাড়ি পৌঁছায় ইংরেজি-বাংলা সংমিশ্রণে কথা বলতে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত। যাদের বেশ শিক্ষিত বলেই মনে হয় ড্রাইভারের কাছে।
অনেকটা রেসিংকারের আগলে গাড়িটি চালিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ভ্যানকে কবজায় নেয় ওই ডাকাতরা। যারা সবাইকে বেদম প্রহার করে তাদের গাড়ি সহ নিয়ে পালিয়ে যায় আবার কিছু দূর যাওয়ার কিছু টাকা রেখে বাকী টাকা নিজেদের ছিনতাই করা কালো মাইক্রোবাসে স্থানান্তর করে এবং পরবর্তীতে সেনানিবাস সংলগ্ন ফ্লাইওভার ব্যাবহার করে আবার ওই Radisson হোটেলের বিপরীতে যায় — সকল টাকা নিজেরা সরিয়ে নিয়ে পগারপার হয়।
রেন্ট-এ কারের ওই ড্রাইভার পুরোটা সময় গাড়িটির পেছনেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী ডাকাতরা সমভ্রান্ত ঘরের সন্তান বলেই প্রতীয়মান হয়।
প্রসঙ্গত, এ দিকে ব্যাংকের টাকা উদ্ধার হওয়ার পর শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। কিভাবে এতগুলো টাকা লুট হয়ে গেলো করা ছিলেন এর পেছনে এ নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে অনেক প্রশ্ন। জানা গেছে উদ্ধার হওয়ার পর টাকা গুনে তার পরিমান হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।