ডঃ ইউনুস বাংলাদেশের এক মাত্র নোবেল জয় ব্যক্তিত্ব। তিনি তার কর্মকান্ডে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার। তবে তাকে নিয়ে রয়েছে অনেক আলোচনা সমালোচনা।বিশেষ করে তার কিছু কর্মকান্ড নিয়ে এখনো রয়েছে অনেক ধোঁয়াশা। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
বৃষ্টির ভয়ে আগেই মাথায় ছাতা দিলেন ডঃ ইউনুস।
নামি দামি মানুষের কাজ কর্ম উচ্চ মানেরই হওয়া উচিত।ডঃ ইউনুস শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন নাকি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।কোথায়,কবে, শান্তিতে কোন অবদান রেখেছেন, তা তিনি আর নোবেলদাতারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আমজনতা শুধু ওনার কাছ নোবেল লোরিয়েটের মতোই উঁচুমানের কাজ আশা করি।
অনেকে চোর-ডাকাত হবে, দুর্নীতিবাজ ও লুটতরাজকারী হবে। তাদের মত কাজকর্ম ডঃ ইউনুসকে মানায় না, কারণ তিনি একজন নোবেল লরিয়েট। আসেন ওনার দুই/ একটা কাজের নমুনা দেই। এইসব সুকর্ম নাকি অপকর্ম সেই বিবেচনা আপনাদের হাতে।
যতদূর জানি, গ্রামীণ ফোনে তিনি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে। দেশব্যাপী গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরাও জানতো গ্রামীণ ফোনের লাভ লোকসানের অংশীদার তারা।কিন্তু গরীব মানুষের টাকা ব্যবহার করে, গ্রামীণ ফোনের শেয়ার তিনি নিয়েছিলেন নিজের নামে। যা পরে টেলিনর কোম্পানির কাছে বিক্রি করে নিজে মুনাফা নিয়েছেন।
বিদেশ থেকে ট্যাক্স ফ্রি আয়ের নিয়ম হচ্ছে, আপনি দেশি অথবা প্রবাসী যাই হোন না কেন, একাধারে ছয় মাসের বেশি বিদেশে থেকে, ইনকাম করলে ওই টাকা ট্যাক্স ফ্রি হয়। ডঃ ইউনুস ছয়দিন বিদেশে থেকেও ওই টাকা ট্যাক্স ফ্রি হিসাবে দেখিয়েছেন, যা পুরোপুরি ট্যাক্স জালিয়াতি।
তিনি তার নিজের ইনকামের টাকা গ্রামীন ব্যাংকে দান হিসাবে দেখিয়েছেন। যে কারণে তিনি দাবি করেন যে নিজে টাকা দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন।কিন্তু বিপরীত চিত্র হচ্ছে, গ্রামীণ ব্যাংকের হিসাবে ওই টাকা লোন হিসাবে দেখানো আছে। অর্থাৎ এই টাকাটা গ্রামীণ ব্যাংক ঋণ হিসাবে নিয়েছে, যা পরে গ্রামীণ ব্যাংক শোধ করবে। এই পুরো নাটকটি সাজিয়ে তিনি ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন।
হয়তো ভেবেছিলেন, ওনার মত প্রভাবশালী মানুষকে কোনো সরকারই ঘাটাতে আসবে না। কিন্তু তথ্য কখনোই চাপা থাকেনা। এই তথ্যগুলো যে ধরা পরে যাচ্ছে, বিভিন্ন মাধ্যমে তা তিনি ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন। আর এই জন্যই বিদেশিদের বিবৃতি বাণিজ্যটা আগেই সেরে ফেলেছেন।বৃষ্টি আসতে পারে এই ভয়ে মাথায় ছাতা নিয়ে বসে আছেন।
প্রসঙ্গত, এ দিকে সম্প্রতি নোবেল জয় ডঃ ইউনুসকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে হয়েছে বেশ আলোচনা। বিশেষ করে বিশ্বের অনেক বড় বড় নেতারা তাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন খোলা চিঠি।