কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একটা সময়ে বাংলা সিনেমায় তিনি করেছেন রাজত্ব। শুধু কলকাতায় নয় বাংলাদেশেও তিনি সমান জনপ্রিয়। বিশেষ করে বাংলাদেশেও তিনি সিনেমা করেছেন বেশ কয়েকটি। আর এই কারণে বাংলাদেশে যাওয়া আসা তার নিত্যদিনের একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ১৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে অভিনেতা ফেরদৌসের সঙ্গে নাচে অংশ নিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানে কলকাতার গায়ক অনুপম রায়ও এসেছিলেন। রাতে অনুষ্ঠান শেষে ফেরদৌসের বাসাতেই ছিলেন ঋতুপর্ণা।
এ প্রসঙ্গে ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক দিন পর যেহেতু ঋতু ঢাকায় আসছে, তাই বললাম, বাইরে কোথাও থাকার দরকার নেই। একদিনের জন্য আমার বাড়ির অতিথি হিসেবে তাকে দাওয়াত দিই। সেও সানন্দে আমার দাওয়াত গ্রহণ করে। দুই বন্ধুর অনেকদিন পর চমৎকার একটা আড্ডাও হলো।’
ফেসবুকে এক পোস্টে ফেরদৌস বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ১৩০ বছর, ও মাই গড। এই আয়োজনের উপস্থাপনা ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও অনুপম রায়ের সঙ্গে একটা পারফর্ম করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে আমাকে, এটা আমার জন্য বিশাল সম্মানের। আমার বন্ধু ও ক্লাবের সভাপ্ত মাহমুদ মানুকে ধন্যবাদ এই সম্মানজনক আয়োজনে আমাকে রাখার জন্য।’
ফেরদৌস- ঋতুপর্ণার বন্ধুত্ব অনেকদিনের। ভারতীয় পরিচালক বাসু চ্যাটার্জির ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ফেরদৌসের। এই একটি সিনেমায় তাকে দুই বাংলায় পরিচিত এনে দেয়। এরপর ওপার বাংলায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ফেরদৌস। আর এই কাজের সূত্রে ঋতুপর্ণার সঙ্গে চমৎকার বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
ফেরদৌস ও ঋতুপর্ণা প্রথম অভিনয় করেন ‘ওস্তাদ’ নামের একটি চলচ্চিত্রে। এরপর তারা জুটি হয়ে কলকাতায় ৩০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। ঋতুপর্ণা জানালেন, তার আর প্রসেনজিতের পরে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেঁধেছেন ফেরদৌসের সঙ্গে।
নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘বাংলাদেশে বরাবরই অন্য রকম একটা আতিথেয়তা পাই। অসাধারণ মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাই।’
আজ শনিবার রাতের ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে ঋতুপর্ণার।
প্রসঙ্গত, একটা সময়ে বাংলাদেশের সিনেমার থেকেও বেশি সিনেমা কলকাতায় করতেন ফেরদৌস। তিনি কলকাতায় এখন পর্যন্ত অসংখ্য সিনেমা করেছেন।আর এই কারণে কলকাতার সব অভিনেতা অভিনেত্রীদের সাথে তার সক্ষতা অনেক বেশি। আর এর মধ্যে সব থেকে বেশি ঘনিষ্ঠতা তার রয়েছে ঋতুপর্ণার সাথে।