এখন মার্কিন টক অব দ্যা টাউনে পরিনিত হয়েছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক।সম্প্রতি মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে দেশটির এই জনপ্রিয় ব্যংকটি হয়ে গেছে দেউলিয়া। আর এই খবর এখন সারা বিশ্বে আলোচনার শীর্ষে। আর এটি ইতিহাসে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার। এ দিকে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক দেউলিয়া হওয়ার পরপরই ব্যাংকটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাংকটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করার কিছুক্ষণ পর, ইলেকট্রনিক্স নির্মাতা রেজারের প্রধান নির্বাহী মিন-লিয়াং থানহ একটি টুইট বার্তায় বলেন, “টুইটারের উচিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক কেনা এবং এটিকে ডিজিটাল ব্যাংকে পরিণত করা।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক জবাবে টুইট করে ব্যাংক কেনার বিষয়ে তার অবস্থান প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, আমিও বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।
এর আগে গত বুধবার (৮ মার্চ) ব্যাংকটি বন্ধ ছিল। এসভিবি ঘোষণা করেছে যে লোকসানের কারণে বিপুল সংখ্যক শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এমনকি বলা হয় যে ব্যালেন্স শীটে ঘাটতি মেটাতে আরও ২২৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করা হতে পারে। এরপর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। তারা দ্রুত ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে শুরু করে। এসভিবি তারপর শুক্রবার সকালে তাদের শেয়ার বন্ধ।
বেটার মার্কেটের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ডেনিস এম কেলেহার বলেন, এসভিবির অবস্থা এত দ্রুত অবনতি হয়েছিল যে এটি পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী হয়নি। কারণ আমানতকারীরা আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে নিচ্ছেন। ফলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ব্যাংকটি দেউলিয়া হয়ে যায়।
শুক্রবার সকালে সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের শেয়ার স্থগিত করার পাশাপাশি ‘ফার্স্ট রিপাবলিক’, ‘প্যাকওয়েস্ট ব্যানকর্প’ এবং ‘সিগনেচার ব্যাঙ্ক’-এর শেয়ার বিক্রিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আমানতধারীদের মধ্যে দেখা দেয় বেশ উত্তেজনা।তবে সবকিছু স্বাবাভিক করার জন্য তারা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা জানায়। সরকার থেকেও নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ।