সম্প্রতি গত বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) ভোরে নিজ বাস ভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলিউডের অন্যতম খ্যাতিমান চিত্রপরিচালক ও অভিনেতা সতীশ কৌশিক। তার মৃত্যুতে গত কয়েকদিন ধরেই শোকের ছায়া বইছে গত বিনোদন অঙ্গনে। তবে গুণী এই অভিনেতার মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য।
সতীশ 9 মার্চ দিল্লিতে এক বন্ধুর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতার। দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যেই খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে কিছু ওষুধ উদ্ধার করেছে। এ বার সতীশের মৃত্যুর তদন্তে নতুন মোড়। ব্যবসায়ী, যার হোলি পার্টি দিল্লিতে তার খামারবাড়িতে আয়োজিত হয়েছিল, দাবি করেছেন যে তার স্বামী সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারে। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি, ওই বিষক্রিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। কুবের গ্রুপের প্রধান বিকাশ মালুকে অভিযুক্ত করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি মালু। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তিনি দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। একটি চিঠিতে তিনি বলেছিলেন যে সতীশ বিকাশ মালুকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছেন। টাকা ফেরত চাইতে বিদেশে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবার দেখা করেছিলেন অভিনেতা। ব্যবসায়ীর স্ত্রীর দাবি, টাকা ফেরত নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সতীশকে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন ওই ব্যবসায়ী। সানভির দাবি, স্বামীর খামারবাড়িতে পার্টিতে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সতীশ। তাই সানভি মনে করেন, টাকা ফেরত এড়াতে তার স্বামীই অভিনেতাকে বিষাক্ত কিছু দিয়েছিলেন। আমার স্বামী ওঁকে খুন করেছেন বলেও ওই নারী জোর দাবি করেছেন বলেও জানা যায়। দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যেই সানভিকে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য তলব করা হয়েছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেই স্বামী বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন ওঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সানভি। গত বছর তিনি বিকাশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন। তবে সতীশের মৃত্যুর বিষয়ে প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। দিল্লি পুলিশ প্রয়াত অভিনেতার বিস্তারিত পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্তে এগোবে পুলিশ। প্রয়াত অভিনেতার হার্ট ও রক্তের নমুনা কিছু পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে।
এদিকে গুণী এই অভিনেতার মৃত্যুর এক সপ্তাহ না যেতেই চাঞ্চল্যকর এ তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।