নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন দেবিদ্বার থানায় নিয়োগকৃত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেইজি চক্রবর্তী। তবে তার বিষয়ে যে অভিযোগ থামছেই না যার কারনে তাকে বেশ কয়েকবার বদলি করা হয়। ফের তাকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হলো চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে। তার বদলির খবরে স্বস্তি ফিরে এসেছে ঐ এলাকার মানুষের মাঝেও।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে তার বদলি সংক্রান্ত আদেশটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ৭ মার্চ ট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই বদলির আদেশ হয়।
প্রজ্ঞাপনে তাকে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক কাজে সমন্বয়হীনতার অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়। এদিকে বদলির আদেশের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়াল ফেস”বুক আইডি থেকে স্থানীয় অধিকাংশ সাংবাদিককে রিমুভ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও ডেইজি চক্রবর্তী গত বছরের ১ ডিসেম্বর দেবিদ্বার উপজেলায় যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েকবার সমালোচিত হয়েছেন। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অসংখ্য খবরের শিরোনাম হন তিনি।
দেবিদ্বারে যোগদানের দুই মাসের মধ্যে প্রশাসনিক কাজে সমন্বয়হীনতার অভিযোগে তাকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
কিন্তু বিশেষ খুঁটির কারণে বদলি স্থগিত করে তিনি এখন পর্যন্ত নিজ পদে বহাল ছিলেন। দেবিদ্বার পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে ৫টি সিএনজি ও ইজিবাইক স্ট্যান্ড লিজ দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
এর আগে গত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সরকারি প্রটোকল ভেঙে আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রধান অতিথি করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। গত ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ করতে এবং আলোচনা সভায় যোগ দিতে বাধ্য করে মিডিয়ার শিরোনাম করেছিলেন।
এদিকে ইউএনওর বদলির খবর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেইজি চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ইউএনও-এর বদলির বিষয়টি উপজেলা জুড়ে ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেনির জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। খবরটি নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেইজি চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেশ কয়েক বার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তিনি বার বার বদলি হচ্ছেন এমন খবর শোনার পর অনেকে যারপর নাই খুশিও হয়েছেন.