সাম্প্রতিক সময়ে আশুলিয়ার একটি নাম করা বিরিয়ানী হাউজ ‘সুলতান’স ডাইন’ এ কাচ্চি বিরিয়ানিতে হালাল মাংশের বদলে কুকুর বিড়ালের মাংশ দেওয়া হচ্ছে, এমন একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এরপর সেটা ভাইরাল হতে শুরু করে। যার কারনে এই ফুড হাউজটির সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এই সংবাদ দেশের গনমাধ্যমগুলোতেও বড় বড় হেডলাইনে শিরোনাম হয়। এবার এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তার পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
বেশিদিন আগের কথা নয়, আশুলিয়ার একটি নাম করা বিরিয়ানী হাউজে কুত্তার মাংশের কাচ্চি বিরিয়ানীর একটা নিউজে হৈ চৈ পড়ে গেছিলো, মনে আছে?
রাতারাতি আশুলিয়া কেন্দ্রিক একাধিক ঐ বিরিয়ানী হাউজের বেশ কয়েকটি শাখা বন্ধ হয়ে গেছিলো পাবলিক রোষানলে। বিরিয়ানী হাউজটির মালিককে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
অত:পর দোকানের মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের পরীক্ষাগারে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রায় এক মাসের মাথায় জট খুলেছিলো রহস্যের। সাভার উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম পরীক্ষাগারে পাঠানো নমুনাটি ‘কুকুরের মাংস নয়’ বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিল। ততদিনে সম্মানহানি ও চরম আর্থিক লোকসানে ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে ভুক্তভোগী বিরানি হাউজের মালিক পক্ষের।
আজকে সারাদিন ঢাকার অন্যতম ফুড ফ্রেঞ্জাইজ সুলতান ডাইনে কুত্তা বিলাইয়ের মাংস দিয়ে কাচ্চির অসামাজিক যোগাযোগ ক্যাম্পেইন চোখে পড়লো। নাক সিটকানো ফে”সবুক ইউটি”উব মিসকিনের বাচ্চারা একদম হাটুর কাপড় উঠিয়ে লাগছে বলা যায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এখন যদি ফে”সবুক ইউটি”উব কামলা মিসকিনদের আবেগঘন ফেসবু”ক ষ্ট্যাটাস ভিডিও বিশ্বাস করে ধরেও নেই সুলতান ডাইনে কুত্তা বিলাইয়ের মাংস দিয়ে কাচ্চি বানাইছে, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তা কোন ল্যাবে প্রমানিত হয়েছে? কোন প্রানী সম্পদ বিভাগের পরীক্ষায় প্রমানীত হয়েছে?
আসলে কি বলবো, মাঝে মধ্যে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি, বিশ্বাস করেন তখন চারপাশে যা দেখি তাদেরকে অবিকল মানুষের মত দেখতে কুত্তা বিলাই মনে হয়।
সুলতান ডাইনে আমি খাইনি, আমি যাইনি, যাওয়া হয়নি। তার আগে আল্লাহর দান বিরিয়ানী হাউজেও আমি যাইনি তার মানে কি? কেউ একজন এসে বললো সেখানে কুত্তা বিলাই দিয়ে কাচ্চি বানায়, এটাই আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?
সুলতান ডাইনের কেউ যদি এই ষ্ট্যাটাস পড়ে তাদের প্রতি অনুরোধ করবো, যেদিন থেকে এটা নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে, তার আগে ২৪/৪৮/৭২ ঘন্টার মধ্যে সকল শাখার সিসিটিভি ফুটেজ গুলো চেক দেন, খুজে বের করুন সুলতান ডাইনের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে মিনিমান কাইজ্জা ঝগড়া হয়েছিলো কি না কোন ব্যাক্তির। তার ছবি প্রকাশ করুন, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করুন। এটার সুষ্ঠ একটা সুরাহা দরকার। না হলে এভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে এরকম হতেই থাকবে। একটা প্রতিষ্ঠান দাড় করানো যে কত কষ্টের তা এইসব ফে”সবুক ইউ”টিউব কামলা মিসকিনেরা বুঝবে না।
উল্লেখ্য, গুলশানের সুলতানস ডাইন বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করে। যেসব সরবরাহকারীর কাছ থেকে সুলতান ডাইন মাংস সংগ্রহ করে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং গড়ে ২৫ কেজি খাসির মাংসে গড়মিল পায় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। তবে অন্য কোনো মাংস রয়েছে কিনা সে বিষয়ে ইতিমধ্যে পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। তবে এটি কোনো ধরনের গুজব কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা।