Saturday , April 1 2023
Breaking News
Home / Countrywide / ঢাকায় আসতে চলেছে নতুন এক প্রযুক্তি, সহজেই ধরা পড়বে অপরাধীরা

ঢাকায় আসতে চলেছে নতুন এক প্রযুক্তি, সহজেই ধরা পড়বে অপরাধীরা

বিশ্বজুড়ে যে সকল অপরাধী র‍্যাকেট পরিচালনা করে থাকে তারা যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে আকাশ পথকে বেছে নিয়ে থাকে। এই সকল অপরাধীরা বড় ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকে। বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে যা খুব সহজ উপায়ে আকাশপথে চলাচল করা অপরাধীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। এর ফলে অপরাধীদের প্রবেশ এবং বহির্গমন সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় বন্ধ বা সীমিত করা সম্ভব হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও সন্ত্রা”/সী দেশে প্রবেশ করতে চাইলে সেই তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে আগেভাগেই পৌঁছে যাবে।

আবার কোনো দেশের কোনো শীর্ষ স”ন্ত্রা/সী কিংবা অপ”রাধী ঢাকায় অব্যাহতভাবে তথ্য জানা যাবে। অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) পরিচিত। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সন্ত্রা”/সবাদ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা যাবে বলে আশা বেবিচক। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ৪০ লাখের বেশি আন্তর্জাতিক যাত্রী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এই শনাক্তদের মধ্যে অপ”রাধী, মানব পাচার বা নিষিদ্ধ দ্রব্যের চো”রাকারবারি শনাক্ত করা কঠিন। কিন্তু এপিআইএসের মাধ্যমে এসব অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হবে।

এআইআই ইন্টারন্যাশনাল অপরাধীদের সাথে উড়োজাহাজ সংস্থার নেতৃবৃন্দ সংস্থার নাম-ঠিকানা-বাছাই করবে। নাম, বিকল্প বানান, বৈধ অংশী বানানের বৈচিত্র্যও নেওয়া হবে। সন্দেহজনক ঘটনাই সেই তথ্য ইমিগ্রেশন শক্তিকে সম্পূর্ণরূপে এপিআইএস।

মূলত APIS এর মাধ্যমে অন্য দেশের বিমানবন্দর থেকে আসা ফ্লাইটের ক্রু ও যাত্রীদের বায়োমেট্রিক ডেটা এবং ফ্লাইটের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। টিকেটিং এর সময় ডেটা সংগ্রহ করা হবে। এরপর, ফ্লাইটটি উড্ডয়নের আগে এপিআইএস-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে সেই তথ্য চলেযাবে। অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর আগে APIS-এর ডেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্ত যাত্রীর ডেটা বিশ্লেষণ করবে। এপিআই সিস্টেম বিশ্লেষণের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অপরাধী তালিকা সহ এয়ারলাইন যাত্রীদের নাম এবং ঠিকানা ক্রস-চেক করবে। নাম, নামের বানান, নামের অংশ বা নামের ভিন্ন বানানও বিবেচনায় নেওয়া হবে। ফলস্বরূপ, APIS সন্দেহভাজন কাউকে খুঁজে পেলে সেই তথ্য অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

একইভাবে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে কোনো অপ”রাধী দেশ ছাড়তে চাইলে বোর্ডিং পাসের আগেই তাঁর তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবে এপিআইএস।

এপিআইএসকেও ব্যবহার মূল্য কত হবে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বেবিচক থেকে বলা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা মূল্য হতে পারে। আমিরাতস টেকনোলজিস এই টাকা বিনিয়োগ করবে। এর বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিবছর নির্দিষ্ট হারে ফি দেবে বেবিচক।

বেবিচক বলেছে, এপিআইএস বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক স”/ন্ত্রাস, অপরা”ধীদের দেশ দেশত্যাগ বা দেশে প্রবেশ, মানব পা”চার, নিষিদ্ধ দ্রব্যের চো”রাচালান ও মানি লন্ডারের মতো অপরাধ বন্ধ করা সহজ হবে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে আগমনকারী যাত্রীদের তথ্য আগাম হাতে পাওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করতে পারবেন।

বেবিচকের তথ্য অনুযায়ী, ইমিগ্রেশন পুলিশ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং বিভাগ, বাংলাদেশ ট্যুরিজমবোর্ড, জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ এবং বেসা”মরিক বিমানস্পালার এপিআই সিস্টেমের তথ্য ব্যবহার করতে।

বেবিচকের একজন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন, আকাশপথে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও অপরাধের বিস্তারের পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তাদের ব্যস্ততার কারণে নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে আন্তঃদেশীয় অপরাধসহ চোরাচালান বন্ধ করে বিমানবন্দর ও সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সদস্য দেশ হিসেবে জাতিসংঘ এবং ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) সকল ধরনের নির্দেশনা অনুসরণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এপিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে আন্তদেশীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আন্তর্জাতিকভাবে ফ্লাইট লাইনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

About bisso Jit

Check Also

একসঙ্গে উধাওয়ের পরে বাসায় ফিরে যা জানালো সেই ৪ কিশোরী

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চার কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে এবং এই ঘটনায় বেশ কৌতুহূল …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *