বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় যে সকল নাম রয়েছে তাদের মধ্যে সব সময়ের জন্য অন্যতম একজন হয়ে থাকবেন বর্তমান বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আগামী এপ্রিলে বঙ্গভবন ছাড়ছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি। আব্দুল হামিদ। আগামী ২৩ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তিনি বঙ্গভবন ছাড়বেন। ইতিমধ্যেই তার বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে।
কারণ এরই মধ্যে দেশের পরবর্তী (২২তম) রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ২৪ এপ্রিল থেকে নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে।
দীর্ঘ ৬৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বহু সাংবাদিকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। আব্দুল হামিদ। তাই বিদায়ের আগে রোববার কয়েকজনকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান তিনি। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন নানা স্মৃতি এবং অবসর নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানান।
এ সময় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি লেখালেখির মাধ্যমে অবসর জীবন কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় যাবেন বলে জানিয়েছেন। মাঝে মাঝে জন্মস্থান মিঠামিনে যাই। আর অবসর সময় কাটান লেখালেখি করে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে বঙ্গভবনের দরবার হলে জড়ো হতে থাকেন আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা। সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে প্রবেশ করেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ডিং প্রটোকল সাংবাদিকদের সাথে করমর্দন করেন এবং সবার সাথে হাসিমুখে ছবি তোলেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে তার সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আমি সাংবাদিকদের অনেক সমর্থন পেয়েছি। আমি সারাজীবন সততার সাথে রাজনীতি করেছি। আমার 64 বছরের জীবনে আমি সাংবাদিকদের কাছ থেকে নেতিবাচক কিছু পাইনি, আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিকরা।
তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সবসময়ই ভালো সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে যখন আমি ডেপুটি স্পিকার ছিলাম এবং শেষ পর্যন্ত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।’
হাওর এলাকায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে পেরেছেন উল্লেখ করে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি কোনো সরকারের আমলে কোনো ব্যক্তির কাছে কিছু চাইনি। প্রত্যেক রাজনীতিবিদ এই ধরনের মানসিকতা থাকলে অবশ্যই এলাকার উন্নয়ন হবে।
মো: আবদুল হামিদ আরও বলেন, ‘৪২ দিন পর জনতার কাছে ফিরব। ভালো লাগছে, সসম্মানে চলে যেতে পেরেছি। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এ সময় রাষ্ট্রপতি হাওর এলাকা ও ঢাকার নিকুঞ্জে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান।
প্রসঙ্গত, দেশের ২০ তম এবং ২১তম টানা এই দুই মেয়াদের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন আব্দুল হামিদ। আওয়ামীলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা এই ব্যক্তির রয়েছে একটি দীর্ঘ রাজনৌতিক জীবন। আর এই পুরো ক্যারিয়ারে তিনি পেয়েছেন অনেক সন্মান আর ভালোবাসা। তাই তো বিদায়ী বেলাতে তার মনে রয়েছে তার ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর।