সারা বিশ্বে একটি বিষয় ছড়াচ্ছে বেশ আলোচনা।আর এই বিষয়টি হলো কর্মীদের ছুটি বাড়ানো এবং কর্মঘন্টা কমানো।ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে অনেক কোম্পানি চার দিনের অফিস এবং তিন দিনের ছুটি শুরু করেছে। পাইলট এ প্রোগ্রাম অনেকটাই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ায়, আফ্রিকার অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে চার দিনের অফিস চালু করা হয়েছে। এবার সৌদি আরবও সপ্তাহান্তকে তিনদিন করার পরিকল্পনা করছে।
গালফ নিউজের মতে, সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় চার দিনের অফিস এবং তিন দিনের ছুটির পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে সৌদি আরবে সপ্তাহে চারটি কর্মদিবস এবং বাকি তিন দিন ছুটি থাকবে। সাধারণত সৌদি আরবের বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহান্তে শুক্রবার ও শনিবার থাকে।
রোববার এক টুইটার ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে সৌদি আরবের মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা শ্রম ব্যবস্থার উন্নতি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাজারকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্রিয়ভাবে আইন সংশোধন করছে। মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের শ্রম ব্যবস্থা বর্তমানে পর্যালোচনাধীন রয়েছে। কোনো ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মে অফিস শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে, সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কার্যদিবস সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় এবং শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৩টায়। শুক্রবার কাজ শুরু হয় সাড়ে সাতটায়। অফিস শেষ হয় দুপুর ১২টায়। দেশে কার্যদিবস আসলে সাড়ে চার দিন। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আমিরাতে নতুন কর্ম সপ্তাহের কারণে সরকারী সংস্থার ৮৮ শতাংশ কর্মী উত্পাদনশীলতা বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রমজান উপলক্ষে দেশটির সরকারি কর্মজীবীদের জন্য দিনের কর্মঘন্টা কমিয়ে আনে। আর এই রেশ কাটতে না কাটতেই এমন সংবাদে বেশ উজ্জীবিত দেশটির কর্মজীবীরা।